সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১০-১৩ ১৯:০৮:২৯
সিলেটভিউ ডেস্ক:: জাতীয় ঐক্যের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বিএনপির দলীয় প্রধান কে, তা দেখে দলটির সঙ্গে ঐক্য হয়নি। ঐক্য প্রক্রিয়ায় বিএনপির দণ্ডিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে সামান্যতম যোগাযোগও নেই বলে জানান তিনি।
তবে তার এ অবস্থানের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এ রায়ের মাধ্যমে বিএনপির সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ হয়েছে। এবং বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যের নেতাদের গাঁটছড়া সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার মতোই।
২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে ভারপ্রাপ্ত দলীয় প্রধান দণ্ডিত হওয়ার পরে বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা বলছেন, সন্ত্রাসী চিহ্নিত কেউ যদি প্রধান হয় সে দলের সঙ্গে জোট করা সন্ত্রাসবাদকেই সমর্থন দেবার শামিল।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘আজকে বিএনপির স্বরূপ স্পষ্ট। আজকে যুক্তফ্রন্ট বা যেকোনো নামেই বলি না কেন, তারা যদি বিএনপির সঙ্গে হাত মেলায় তাহলে প্রমাণিত হবে, এই সমস্ত হত্যাকাণ্ড, সন্ত্রাসবাদের তারা সমর্থক। অতীতেও তারা সমর্থন দিয়েছে এবং আগামীতেও সমর্থন দিবে।’
বর্তমান জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, যিনি ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা তদন্তে একটি কমিটির প্রধানও ছিলেন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত এমন দল কিংবা ব্যক্তির সঙ্গে তারা ঐক্য চায় না বলে জানান তিনি। বিএনপির সঙ্গে ঐক্য হলেও বিএনপির দলীয় প্রধানকে মানেন না জাতীয় ঐক্যের এ নেতা।
তিনি বলেন, ‘যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে সেই ব্যক্তি অথবা দলের মধ্যে এরকম কাউকে যদি চিহ্নিত করা হয়ে থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হতেই পারে না। ঐক্য মানে জনগণের ঐক্য। বিনা দ্বিধায় বলতে পারবো, তারেকের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আমার তো নাই। আমাদেরও নাই। সে লন্ডনে বসে আছে, কি করছে না করছে। বিএনপির সঙ্গে আমরা তো এরকম আঁতাত করছি না। এখানে সন্ত্রাসকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয়ার প্রশ্নই উঠে না আমাদের।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যতের রাজনীতিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে প্রগতিশীল সব শক্তির উচিত সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িতদের বয়কট করা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিবেক দিয়ে যদি নিজেকে প্রশ্ন করেন যে, এই দলটিকে সমর্থন করা উচিৎ কিনা আমার মনে হয় প্রশ্নের উত্তর ‘না’ বোধক হতে বাধ্য। তবু দলকানা কিছু মানুষ থাকেই, বুদ্ধিজীবী থাকেই, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি থাকেই। যেমন, এই জজ মিয়া নাটক সাজানোর পরেও বিএনপির পক্ষে অনেকেই ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলেছেন, লেখা লিখেছেন।’
গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে দলগুলোকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ারও পরামর্শ দেন এই বিশ্লেষক।
সিলেটভিউ ২৪ডটকম/১৩অক্টেবর২০১৮/এমএইচআর