বিএনপিকে নিষিদ্ধের দাবিতে যুবলীগের মিছিল-সমাবেশ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় এবং অতীতের 'জ্বালাও-পোড়াও' কর্মসূচির কারণে বিএনপিকে 'খুনি-সন্ত্রাসী' রাজনৈতিক দল হিসেবে আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। 


শনিবার বিকালে এরই অংশ হিসেবে রাজধানীর কাকরাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ১৯ ও ২০নং ওয়ার্ড মিছিল ও সমাবেশ করেছে। বিএনপিকে নিষিদ্ধের দাবিতে ১০ দিনের কর্মসূচির প্রথম ছিল আজ। 

সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল। তখনই তার দল বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার দরকার ছিল। কিন্তু তখন করা হয়নি। তাদের রাজনীতির সুযোগ দেয়া হয়েছে। এর ফলে তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছে। সেটা না পারলেও সেদিন তারা ২৪ জনকে হত্যা করে। এরপর থেকে গণতন্ত্রের নামে নানা সহিংস আন্দোলনে তারা মানুষ মেরেই চলছে। ২০১৩ ও ২০১৪ সাল তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। 

তিনি আরও বলেন, একটি দলের নেতৃত্বশূন্য করতে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা হয়েছে। এতে প্রমাণিত বিএনপি সন্ত্রাসী দল। এদের নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের রাজনীতির নামে মানুষ হত্যার সুযোগ দেয়া যবে না। যদি দেয়া হয়, সারা বাংলার যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার কথা জানান তিনি। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা, সোহরাব হোসেন স্বপন, কামাল উদ্দিন খান, মুহাম্মদ মাহবুবর রহমান পলাশ, খোরশেদ আলম মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, ইব্রাহিম খলিল মারুফ, মাকসুদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আরমান হক বাবু, দফতর সম্পাদক এমদাদ প্রমুখ।

পরে সেখান থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। মিছিলটি রাজমনি সিনেমা হলের সামনে থেকে শুরু হয়ে আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। 

এর আগে কাকরাইল এলাকায় সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ করা হয়।