সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৪-২৩ ১৩:৪৫:৪৯
ফাইল ছবি
সিলেটভিউ ডেস্ক :: যুবলীগের দুই নেতাকে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় টাঙ্গাইলে সরকারদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ চলমান রেখেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
এ ছাড়া আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, মনসরুল হক চৌধুরী ও সাঈদ আহমেদ রাজা।
সাঈদ আহমেদ রাজা জানান, হাইকোর্ট জামিন দিয়েছিলেন। পরে চেম্বার আদালত তা স্থগিত করেছিলেন। আজ আপিল বিভাগ সেই স্থগিতাদেশ কন্টিনিউ করেছেন।
বিচারিক আদালতে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ফারুক হত্যা মামলায় এবং ৩০ সেপ্টেম্বর যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় রানার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এর পর হাইকোর্টে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
গত ৬ মার্চ হাইকোর্ট যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় ও ১৪ মার্চ ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় ছয় মাস করে জামিন পান রানা। তবে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় পাওয়া জামিন ১৪ মার্চ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। ফলে কারাগার থেকে আর বের হতে পারেননি সাবেক এই এমপি।
আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় তৎকালীন এমপি রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালত।
এ মামলায় ২০১৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ওই বছর ৬ সেপ্টেম্বর দণ্ডবিধির ৩০২, ১২০, ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তাদের বিচার শুরু হয়। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
অন্যদিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই মোটরসাইকেলে টাঙ্গাইল শহরে গিয়ে নিখোঁজ হন। পর দিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন টাঙ্গাইল সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
ওই ঘটনায় ২০১৩ সালের ৯ জুলাই মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করলে তদন্ত করে ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে পুলিশ। পরে এ মামলায় গ্রেফতার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরন মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়, যাতে আমানুর রহমান খান রানার নাম আসে।
সিলেটভিউ ২৪ডটকম/২৩ এপ্রিল ২০১৯/এমইচআর
সৌজন্যেঃ যুগান্তর