Sylhet View 24 PRINT

বিএনপি ছবি তুলতে গিয়েছিল: ওবায়দুল কাদের

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৯-১৫ ১৬:১২:২৭

সিলেটভিউ ডেস্ক :: রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ত্রাণ দেওয়ার ‘নিয়ম না মানায়’ বিএনপিকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সেখানে রাজনীতি নিয়ে গেছে; না হলে নিয়ম মানবে না কেন।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দুর্যোগ ও ত্রাণ উপ-কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

নিয়ম না মানায় বিএনপি বাধার সম্মুখীন হয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, “একটা রুলস আছে, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে কমিটির মাধ্যমে সবাই ত্রাণ দিচ্ছে। তারা যদি কমিটির কাছে ত্রাণ দিত, তাদের মাধ্যমে বিএনপি ত্রাণ দিতে গেলে, (বিএনপির) নেতারা শরণার্থী শিবিরে পৌঁছার আগেই ত্রাণ পৌঁছে যেত। এটা মানবিক সাহায্যের বিষয়, এখানে আমরা রাজনীতি করব কেন?

“লক্ষ লক্ষ মানুষ, তাদের খাদ্য দিতে হবে, তাদের থাকার জায়গা দিতে হবে, তাদের স্যানিটেশন, বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ। এটা আমরা একা মোকাবেলা করব, এটা তো কখনো ভাবিনি। এটা আমরা কেন বাধা দিব, এই অমানবিক ব্যবহার আমরা কেন করব। কিন্তু বিএনপি সেখানে রাজনীতি নিয়ে গেছে। না হলে নিয়ম মানবে না কেন।”

বিএনপির ত্রাণ দিতে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “বিএনপি তো ত্রাণ দিতে যায় না, তারা যায় কয়েকটা নিউজ আর ছবির জন্য যায়। কয়েকটা ট্রাক নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে ত্রাণ ছিল কিনা, অনেক কিছু থাকলেও থাকতে পারে। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।”

মিয়ানমারে সাম্প্রতিক দমন-পীড়নের মুখে নতুন করে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে গত বুধবার তাদের জন্য ত্রাণ নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে রওনা হয় বিএনপি; তবে মাঝপথে তাদের আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বিভিন্ন দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠন খাদ্য ও পানিসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য ত্রাণ পাঠানো শুরু করলেও প্রাণভয়ে সহায়-সম্বলহীন হয়ে পালিয়ে আসা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার জন্য তা এখন যথেষ্ট নয়। ত্রাণের আশায় হাহাকার করছে তারা।

এ অবস্থায় ত্রাণ দিতে গেলে নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টাও দেখা প্রয়োজন বলছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।

তিনি বলেন, “আপনারা কি ভাবতে পেরেছেন ওখানে কী ভয়াবহ অবস্থা? সেখানে সব না খাওয়া লোক। প্রতিনিয়ত এই স্রোত আসছে। সেখানে নিয়মের বাইরে কেউ খাদ্য সামগ্রী নিয়ে গেলে, তাদের জীবনই সংশয়ের মধ্যে পড়ে যেত।

“আমি সেখানে কয়েকবার গিয়েছি, বাস্তবতা হচ্ছে এই… ঢাকায় বসে বাস্তবতা উপলব্ধি করা যায় না। শৃঙ্খলা না রাখলে সব লুটপাট হয়ে যেত। যারা বিতরণ করতে যেত, তারাও নাজেহাল হতেন। বিএনপি নেতাদের তো সিকিউরিটির ব্যাপার আছে। সেখানে কিছু ট্রাক নিয়ে গেলে কি অবস্থা হবে, ওখানকার না খাওয়া লোকেরা যদি জানে যে এই ট্রাকে খাদ্য আছে?”

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার নামে চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য চাঁদাবাজির মহোৎসব যেন না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। এক্ষেত্রে চাঁদাবাজি বা জোর-জবরদস্তি সহ্য করা হবে না। এটি তো মানবিক ব্যাপার, যারা স্বেচ্ছায় সাহায্য করবে সেটি আমরা গ্রহণ করব।”

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.