Sylhet View 24 PRINT

খালেদার গ্রেফতারি পরোয়ানা যাচ্ছে গুলশান থানায়

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-১০-১৬ ০০:২৮:৩৫

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চেরিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে রাজধানীর গুলশান থানায়। ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান স্বাক্ষর করার পর গতকাল বিকালে সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এর আগে ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে দুই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে একই আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের জন্য গতকালের তারিখে ১৪৯৯ নম্বর স্মারকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং ১৫০০ নম্বর স্মারকে জিয়া চেরিটেবল ট্রাস্ট মামলার পরোয়ানা থানায় পাঠানো হয়েছে। দুটি পরোয়ানার ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, স্বামী : মরহুম জিয়াউর রহমান, সাং-৬ শহীদ মইনুল রোড, ঢাকা। বর্তমানে ১ (ফিরোজা ভবন), সড়ক-৭৯, গুলশান-২, ঢাকা-১২১২। পুরান ঢাকার বকশিবাজারে আলীয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী বিশেষ এজলাসে ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এ দুই মামলার বিচার চলছে। দুই মামলায় ১৯ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। ওই দিন খালেদা জিয়ার জামিননামায় স্বাক্ষরকারী জামিনদার ও আইনজীবীদের নিকট থেকে মুচলেকার টাকা আদায়ের বিষয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ মামলা : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। মামলায় অভিযোগ করা হয়, এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করেছে আসামিরা। মামলার অপর আসামি হলেন— বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

জিয়া চ্যারিটেবল মামলা : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। মামলার অন্য তিন আসামি হলেন— খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডক্টর জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এদের মধ্যে হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। এ ছাড়া জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ করা হয়। পরে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.