আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং
এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে চেন্নাইয়ের কাছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ হারলেও সেই ম্যাচে অদ্ভুত ডেলিভারির মুখোমুখি হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান।
জি নিউজ বলছে, ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন ডেলিভারি এই প্রথম বলা যাবে না। তবে আইপিএলে এই ধরনের ডেলিভারি খুব বেশি নেই। আর তাই চেন্নাইয়ের বোলার দীপক চাহারকে নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে আলোচনা চরমে। সেটি বোলারদের দশটি অদ্ভুত ডেলিভারির তালিকায়ও চলে আসতে পারে বলেও মনে করছে গণমাধ্যমটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দিন ম্যাচের পঞ্চম ওভারে সেই অদ্ভুত ডেলিভারি করেন দীপক।ব্যাটসম্যানের মাথার উপর দিয়ে গিয়ে বল পড়ে উইকেটকিপার ধোনির একদম সামনে। একে তো লেগস্ট্যাম্পের অনেকটা বাইরে। তার উপর ব্যাটসম্যানের মাথার উপর দিয়ে যাওয়া ডেলিভারি। ক্রিকেটের নিয়মানুযায়ী এমন ডেলভারি নো বল হিসাবে বিবেচিত হয়। শুধু তাই নয়, বোলারকে ডেকে আম্পায়ার সতর্কও করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনোটাই হল না। বরং আম্পায়ার মারাস এরাসমাস এই ডেলিভারিকে ডেড বল হিসাবে ঘোষণা করেন। আর তাতেই প্রশ্ন উঠছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, দীপক চাহার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই এমন বল করেন। ব্যাপারটা অনিচ্ছাকৃত। কিন্তু তাও উল্টো দিকে থাকা ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান প্রশ্ন তুললেন, কেন এমন ডেলিভারিকে নো বল ঘোষণা করা হবে না! ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে পাকিস্তানের মোহম্মদ সামি দুটি ডেলিভারি এমন করেছিলেন। আম্পায়ার দু'বারই ডেড বল ঘোষণা করেন। তবে এক্ষেত্রে চেন্নাই-হাদরাবাদ ম্যাচে উপস্থিত ধারাভাষ্যকাররা আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিমত পোষণ করলেন।
নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন টেস্ট বোলার সাইমন ডোল বললেন, 'এই ধরনের ডেলিভারি নো বল হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানের অ্যাডভান্টেজ পাওয়া উচিত।'
আরেক ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কর অবশ্য বোলারদের সৌভাগ্যবান বলছেন। কারণ, এমন ডেলভারিতে আম্পায়ার চাইলেই নো বল ঘোষণা করতে পারেন।
দীপকের এমন অদ্ভুত ডেলিভারির পরই সাকিব আল হাসান এগিয়ে এসে নো বলের দাবি জানান। তবে আম্পায়ার মারাস তাতে আমলে নেননি।
ভিডিও দেখতে নিচের লিংক ব্রাউজ করুন :
https://www.iplt20.com/video/142552/dead-ball-or-no-ball-