আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২ রানে হারিয়ছে বাংলাদেশ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৮-০৫ ০৯:৫৮:৪১

সিলেটভিউ ডেস্ক :: যুক্তরাষ্ট্রে পা রেখে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমর্থন নিয়ে এখানে মজায় খেলবে দল। মাঠে সেই মজা জমল ভালোই। দারুণ ব্যাটিং-বোলিংয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন সাকিব। তামিম ইকবাল খেললে দুর্দান্ত ইনিংস। শেষ দিকে স্নায়ুর চাপে জিতলেন বোলাররা। জিতল বাংলাদেশ।

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ফ্লোরিডার লডারহিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২ রানে হারিয়ছে বাংলাদেশ। সমতা ফিরিয়েছে তিন ম্যাচের সিরিজে।

বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে শুরু হওয়া ম্যাচে ২০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছিল ১৭১ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ করতে পেরেছে ১৫৯।

মার্চে শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল থেকে টানা পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হারার পর জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ।

অ্যাশলি নার্সকে সামলাতে বদল এসেছিল ব্যাটিং অর্ডার। বদলায়নি টপ অর্ডারের চিত্র। আবারও জোড়া ধাক্কায় নাড়িয়ে দিয়েছিলেন নার্স। কিন্তু তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত দুটি ইনিংসে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত করতে পারে লড়ার মত রান।

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ফ্লোরিডার লডারহিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ১৭১ রান তুলেছে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এই মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড ১৬১।

অষ্টম ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে উদ্ধার করেছে তামিম ও সাকিবের ৫০ বলে ৯০ রানের জুটি। ৪৪ বলে ৭৪ করেছেন তামিম, ৩৮ বলে ৬০ সাকিব।

প্রথম ম্যাচে দুই বাঁহাতি ওপেনারকে প্রথম ওভারেই ফিরিয়েছিলেন নার্স। তাকে এড়াতে এদিন তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন লিটন দাস। স্ট্রাইকও নেন লিটন, টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার নন-স্ট্রাইকে শুরু করেন তামিম।

বাংলাদেশের এই বদলে কৌশল বদলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজও। ডানহাতি লিটনের জন্য বোলিং শুরু করে তারা লেগ স্পিনার স্যামুয়েল বদ্রিকে দিয়ে।

তবে নার্স আক্রমণে আসেন দ্বিতীয় ওভারেই এবং আবারও নাড়িয়ে দেন বাংলাদেশকে। জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে মিড অফে ক্যচ দেন লিটন দাস।

ডানহাতি-বাঁহাতি সমন্বয় ধরে রাখতে তিনে নামানো হয় মুশফিকুর রহিমকে। তিনিও নার্সকে উইকেট উপহার দিয়ে আসেন সুইচ হিট খেলতে গিয়ে।

আরেক পাশে তামিম দারুণ খেললেও অন্য পাশে আসেনি তেমন রান। চারে নামা সৌম্য সরকার ষষ্ঠ ওভারে নার্সকে ছক্কা মারেন মাথার ওপর দিয়ে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে রান আসে কেবল ৩৬।

সৌম্য সময় নিয়েছেন, কিন্তু রানে ফিরতে ব্যর্থ এদিনও। বিদায় নেন কিমো পলের স্লোয়ারে।

এই তিন উইকেটের মাঝে তামিম খেলেছেন দুর্দান্ত। নার্সকে প্রথম ওভারে মেরেছেন দুটি চার। বদ্রির দ্বিতীয় ওভারে বাউন্ডারির পর চোখধাঁধানো শটে এক্সট্রা কাভার দিয়ে ছক্কা। সৌম্যকে আউট করা পলের ওভারেও মেরেছেন দুটি বাউন্ডারি।

ইনিংস নতুন গতি পায় সাকিব নামার পর। পলকে টানা দুই বলে মারেন বাউন্ডারি। কেসরিক উইলিয়ামসের এক ওভারে তিনটি।

কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের বলে তামিমের দৃষ্টিনন্দন বাউন্ডারিতে জুটির ফিফটি আসে ৩৩ বলে। দলের রানও স্পর্শ করে তিন অঙ্ক। ওই ওভারেই রভম্যান পাওয়েলকে সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান তামিম ৪৭ রানে। সেটির মূল্য দিতে হয় ক্যারিবিয়ানদের।

৩৫ বলে তামিম স্পর্শ করেন ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি ফিফটি। এর পর পেয়ে বসেন আন্দ্র রাসেলকে। পাঁচ বলের মধ্যে মারেন দুর্দান্ত তিনটি ছক্কা, এক চার। ওভারের শেষ বলে আরেকটি ছক্কার চেষ্টায় ক্যাচ দেন সীমানায়। নামের পাশে তখন জ্বলজ্বল করছে আধ ডজন চার ও চারটি ছক্কায় ৪৪ বলে ৭৪।

সাকিব ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি স্পর্শ করেন ৩০ বলে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপেক্ষ ম্যাচটির ১৬ ইনিংস পর আবার পেলেন টি-টোয়েন্টি ফিফটি। অধিনায়ক হিসেবে ১৩ ম্যাচে তার প্রথম।

৯ চার ও ১ ছক্কায় ৬০ রান করে সাকিব ফিরেছেন শেষ ওভারে। তামিমের বিদায়ের পর শেষ ৪ ওভারে ওঠেনি প্রত্যাশিত ঝড়। মাহমুদউল্লাহ করেছেন ১০ বলে অপরাজিত ১৩।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ০৫ আগস্ট ২০১৮/ডেস্ক/আআ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন