আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১০-২২ ০০:৫৭:৫৬

ইদ্রিছ আলী, মিরপুর থেকে :: বাংলাদেশকে প্রথম ওয়ানডেতে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরির পর বোলারদের নৈপুণ্যে ২৮ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। বুধবার চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।

মোস্তাফিজের প্রথম বলটা বুঝতে পারেননি ঝুবাও। এর আগে ঝড় তুলেছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ১২৬ ক্যারিয়ার স্ট্রাইকরেট নিয়ে এ ম্যাচ খেলতে নামা এই ব্যাটসম্যান আজ প্রথম ২৩ বলেই ৩৫ রান তুলেছেন। মাশরাফি ও মেহেদী হাসান মিরাজের প্রথম ৭ ওভারেই ৪৮ রান তুলে উড়ছিল জিম্বাবুয়ে। ঝুবাও ফিরলেন, সঙ্গে নিয়ে গেলেন লড়াইয়ের সব ঝাঁজও। এ জুটিটাই যে ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি হয়ে থাকল।

এরপর থেকেই ধুকে ধুকে এগিয়েছে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। নাজমুল ইসলামের দুর্দান্ত দুটি বলে বোল্ড আউট হয়েছেন দলের মূল তিন ব্যাটিং ভরসার দুজন, ব্রেন্ডন টেলর ও সিকান্দার রাজা। অন্য ভরসা আউট হওয়ার জন্য কোনো বোলারের ধার ধারেননি, মুশফিকুর রহিমের দারুণ গ্লাভস ওয়ার্কে রান আউট হয়েছেন অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। দলকে টানার চেষ্টা করেছেন ক্রেগ আরভিন। কিন্তু মিরাজের বল বুঝতে না পেরে সেই আরভিনও যখন ফিরছেন, সফরকারীদের রান তখন সবে এক শ ছুঁয়েছে।

২৫.১ ওভারে প্রতিপক্ষের ৫ উইকেট তুলে নিয়ে একটু ‘বিশ্রামে’ গেলেন বাংলাদেশের বোলাররা। সেই সুযোগে ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটির দেখা মিলল। পিটার মুর ও শন উইলিয়ামসের ৪৫ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটির সময়টুকুতেও এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়নি, জিম্বাবুয়ে জেতার চেষ্টা করছে। ইনিংস লম্বা করার এই ব্যর্থ চেষ্টা থেকে দর্শককে মুক্তি দিয়েছেন মিরাজ। মুর (২৬) আউট হলেন দলের ১৪৫ রানে। উইলিয়ামস এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে তিরিপানো ও মাভুটার বিদায়ও দেখলেন। মাভুটাকে অবশ্য দোষ দেওয়া যাচ্ছে না। নিজের বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে মিরাজ যে অমন ক্যাচ নেবেন সেটা ভাবা সম্ভব ছিল না জিম্বাবুইয়ান লেগ স্পিনারের পক্ষে।

১৬৯ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর ইনিংসের সেরা সময় কাটিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ১০ ওভারে ১০৩ রান নেওয়ার প্রায় অসম্ভব লক্ষ্যে ছুটতে চেষ্টা করেছেন উইলিয়ামস ও জারভিস, এটা হয়তো বলা যাচ্ছে না। কিন্তু টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের মতো বাংলাদেশের বোলারদের আধিপত্যও মেনে নেননি এ দুজন। বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডারদের মধ্যেও এ সময় ফুটে উঠেছিল অর্থহীন এক ম্যাচ খেলার আলস্য। শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৩৭ রান করে আউট হয়েছেন কাইল জারভিস। ৮ বল বাকি থাকতে ৬৭ রানের নবম উইকেট জুটিটা থামল। উইলিয়ামস থামেননি, ইনিংসের শেষ বলে গিয়ে ফিফটি বুঝে নিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। প্রথম ৪২ বলে ২২ রান করা উইলিয়ামস ৫৮ বলেই ছুঁয়েছেন ফিফটি।

এ ম্যাচ থেকে ইমরুল কায়েসের ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রান আর সাইফউদ্দিনের প্রথম ফিফটিটাই যাচ্ছে। ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা একটি দল যে ২৭১ রান করল, এর পেছনে এ দুজনের রেকর্ড গড়া ১২৭ রানের জুটিটাই মূল ভূমিকা রেখেছে।

বাংলাদেশের একাদশ: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, ফজলে রাব্বী, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিথুন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল ইসলাম অপু ও মুস্তাফিজুর রহমান।

জিম্বাবুয়ের একাদশ: হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, চেফাস ঝুওয়াও, ক্রেইগ আরভিন, ব্রেন্ডন টেলর, শেন উইলিয়ামস, পিটার মুর, সিকান্দার রাজা, ডোনাল্ড ত্রিপানো, ব্রেন্ডন মাভুতা, কাইল জার্ভিস, টেন্ডাই চাতারা।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন