Sylhet View 24 PRINT

গতিতে রোহিতকে পরাস্ত করলেন এবাদত

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-২২ ১৮:৫৬:৫৬

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। তবে বোলাররা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বেশ চাপেই রেখেছেন আল আমিন-আবু জায়েদ রাহী-এবাদত হোসেনরা।

১ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে প্রথম দিনের চা বিরতিতে যাওয়া ভারত বিরতির পরই হারিয়েছে আরও একটি উইকেট। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২ উইকেটে ৭১ রান স্বাগতিকদের।

২৬ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ভারত। দীর্ঘ ৫ বছর পর টেস্টে ফেরা আল আমিন হোসেনকে খেলতে গিয়ে গালিতে বদলি ফিল্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ হন মায়াঙ্ক আগারয়াল। ১৪ রান করেন ভারতীয় এই ওপেনার।

চা-বিরতির পর সাজঘরে আরেক ব্যাটসম্যান। এবার এবাদত হোসেনের গতিতে পরাস্ত হয়ে উইকেটের সামনে পা ধরে দেন রোহিত। আম্পায়ার আঙুল দিতে কার্পণ্য করেনিন। রোহিত অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু রক্ষা হয়নি। ২১ রানেই থেমেছে তার ইনিংসটি।

এর আগে ভারতীয় পেসারদের তোপে ১০৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্তে শুরুটা বেশ সাবধানেই করেছিলেন ইমরুল ও সাদমান। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে ভারতীয় ফিল্ডারদের জোরাল আবেদনে অবশ্য আঙুল তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। ইমরুল কায়েসের বিপক্ষে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন কট বিহাইন্ডের। তবে ইমরুল নিশ্চিত ছিলেন বলটা তার ব্যাটে লাগেনি, সঙ্গে সঙ্গে নেন রিভিউ।

রিপ্লেতে দেখা যায় বলটা লেগেছিল তার থাই প্যাডে। যার ফলে সে দফায় বেঁচে যান বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু এক বল পর, সে ওভারেরই পঞ্চম বলে ইশান্ত শর্মার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিটি বুঝতেই পারেননি তিনি। সোজা আঘাত হানে প্যাডে, লেগ বিফোরের সিদ্ধান্ত জানান আম্পায়ার। এবারও রিভিউ নেন ইমরুল।

কিন্তু রিপ্লেতে দেয়া যায় বলটা সোজা আঘাত হানতো লেগস্টাম্পে। যার ফলে আউটের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান ইমরুল। যার ফলে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম দিবারাত্রির টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চাপেই পড়ে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

সেই চাপ কয়েকগুণ বেশি ভারী হয় পরের ৬ ওভারের মধ্যেই। ইনিংসের ১১তম ওভারের প্রথম বলে অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট এগিয়ে দিয়ে সেকেন্ড স্লিপে থাকা রোহিত শর্মার হাতে ধরা পড়েন মুমিনুল হক। এক পর সরাসরি বোল্ড হয়ে যান মোহাম্মদ মিঠুন। দুজনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।

এ দুইজনের দেখাদেখি পরের ওভারের পঞ্চম বলে রানের খাতা খোলার আগেই সোজা বোল্ড হয়ে যান মুশফিকুর রহীম। টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ব্যাটসম্যানের শূন্য রানের ফেরার মাত্র ৫ম ঘটনা এটি।

তিন এম খালি হাতে ফিরলেও ভালো খেলছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। কাউন্টার অ্যাটাকে একাই করছিলেন দলের সব রান। তাই তো দলীয় ৩৮ রানের মাথায় যখন ফিরে যান তিনি, তখন তার নামেই পাশেই লেখা ২৯ রান। বাকি ৯ রানের মধ্যে আবার ৫ রানই আসে অতিরিক্ত খাত থেকে।

এরপর বেশিক্ষণ থাকা হয়নি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। লিটন দাস উইকেটে এসেই জোড়া চার মেরে চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ তা পারেননি একদমই। যার ফলশ্রুতিতে ২০তম ওভারে ঋদ্ধিমান সাহার দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে মাত্র ৬ রানে আউট হন তিনি।

সাদমানের পর দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে যা একটু লড়াই করছিলেন লিটন দাস। কিন্তু তিনিও ২৪ রানের মাথায় মোহাম্মদ শামির বাউন্সারে মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর ইবাদত হোসেন ফেরেন ১ রানেই, ইশান্ত শর্মার বলে বোল্ড হয়ে।

লিটনের চোটে বাংলাদেশের প্রথম বদলি ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু ৮ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি, ইশান্ত শর্মার চতুর্থ শিকার হন তিনি। এরপর ১৯ রান করা নাইম হাসানকে বোল্ড করে ইনিংসে নিজের ৫ উইকেটও পূর্ণ করে ফেলেন ভারতের দীর্ঘকায় এই পেসার।

সৌজন্যে :: জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ নভেম্বর ২০১৯/জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.