আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

৪র্থ সিসিক নির্বাচনে ‘ফ্যাক্টর’ নতুন ২৪ হাজার ভোটার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-১৬ ০০:১৫:৩৭

মিসবাহ উদ্দীন অাহমদ :: সিলেট নগরজুড়ে বিরাজ করছে নির্বাচনী হাওয়া। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লার অলি-গলি, বাসা-বাড়ির ড্রয়িংরুম কিংবা চায়ের দোকানজুড়ে সর্বত্রই অন্য অালোচনার সাথে ঠাই পাচ্ছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচন প্রসঙ্গও।

অাসন্ন নির্বাচনে কার মত কোন দিকে, কে কাকে সমর্থন করছেন। কে এগিয়ে অার কে পিছিয়ে- কোন কিছুই বাদ যাচ্ছে না অামজনতার অালোচনার টেবিল থেকে। প্রশংসা অার সমালোচনা দু\\\\\\\\\\\\\\\'টিই চলছে সমানতালে।

অাসন্ন সিটি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ২৪ হাজারেরও বেশি ভোটার। তারা নতুন ভোটার হয়েছেন। বয়সে তরুণ এই বড় অংকের ভোটারই এবার বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছেন সিসিক নির্বাচনে। ২৪ হাজারকে যেসব মেয়র প্রার্থী অাকৃষ্ট করতে পারবেন তারাই বাজিমাত করতে পারেন। ওয়ার্ডগুলোতে কাউন্সিলর পদেও ফ্যাক্ট হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই নতুন ভোটাররা।

অার এই নতুন ২৪ হাজার ভোটারের হিসাবটি জানাগেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকানুযায়ী। নতুনভাবে যুক্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ১৮ জন ভোটার। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার বেড়েছে ১২ হাজার ১শ ১০ জন, নারী ভোটার ১১ হাজার ৯শ ৮ জন।

নির্বাচন কমিশনের হালনাগাদকৃত তালিকামতে সিলেট নগরীর বর্তমান মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৫ হাজার ৬৪ জন। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেটি ছিল ২ লাখ ৯১ হাজার ৪৬ জন। এর অাগে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া দ্বিতীয় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮০।

কমিশনের দেওয়া তথ্যমতে, বর্তমানে নগরীতে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ২শ ৯১ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭শ ৭৩ জন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে সিটি নির্বাচনের সময় মোট পুরুষ ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ১শ ৮১ জন। আর নারী ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮শ ৬৫ জন। ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি ভোটার তালিকাটি সর্বশেষ হালনাগাদ করা হয়েছিল।

নতুন ভোটারদের মধ্যে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটাররা একদফা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন উপ-নির্বাচনের সুবাদে। হালনাগাদকৃত তালিকাতে দেখাগেছে ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে এবারও সবচেয়ে বেশি ভোটার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এখানে গত বছরের ২২ মার্চ উপ-নির্বাচন হয়েছিল। তখন ওয়ার্ডের নতুন ভোটাররা অবশ্য একদফা ভোট প্রদানের সুযোগ পেয়েছিলেন। তৃতীয় সিটি নির্বাচনে বিজয়ী কাউন্সিলর নজিবুর রহমান নীরুর অাকস্মিক মৃত্যুতে কাউন্সিলর পদটি শূণ্য হয়ে পড়ে। তাই সেখানে উপ-নির্বাচন দেয় নির্বাচন কমিশন। এতে নতুন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অাফতাব হোসেন খান।

হালনাগাদকৃত তালিকাতে এই ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১৮ হাজার ৩ ৬৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৪ জন। মহিলা ভোটার ৮ হাজার ৯৬৮ জন। ২০১৩ সালে তৃতীয় সিটি নির্বাচনে এই ওয়ার্ডের মোট ভোটার ছিলেন ১৬ হাজার ৯৩৮ জন। মহিলা ভোটার ছিলেন ৮ হাজার ২৮১ জন ও পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৬৫৭ জন। এর আগে দ্বিতীয় সিটি নির্বাচনে এই ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৪৭০ জন।

অন্যদিকে এবারও নগরীর সবচেয়ে কম ভোটার ২ নং ওয়ার্ডে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক হালনাগাদকৃত তালিকানুযায়ী ২ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৬ হাজার ৬১০ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার হচ্ছেন ৩ হাজার ৬৮১ জন। আর মহিলা ভোটার হচ্ছেন ২ হাজার ৯২৯ জন। ২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে ভোটার ছিলেন ৬ হাজার ২৮৩ জন। ওই নির্বাচনে কম সংখ্যক ভোটারের এই ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়। সেটিই ছিল সিলেটে প্রথমবারের মতো ইভিএম ব্যবহার। ২০০৮ সালে দ্বিতীয় সিটি নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে ভোটার ছিলেন ৫ হাজার ৫০০ জন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৬ এপ্রিল ২০১৮/এমইউএ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন