আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

ছাতকে বোরো ফসল রক্ষায় পাউবোর বিশেষ প্রকল্পের ৫টি বাঁধ নির্মাণ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-১৬ ১০:৩৪:৪৩

মাহবুব আলম, ছাতক :: ছাতকে আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢল থেকে বোরো ফসল রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্ধারিত ৭টি বাঁধ ছাড়াও বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যেমে অতিরিক্ত আরো ৫টি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।

উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন ভাঙ্গায় এসব ছোট-বড় বাঁধ নির্মান করা হয়।

স্থানীয় কৃষকদের মতে পিআইসি কর্তৃক নির্মিত বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের সাপোর্ট হিসেবে এসব বাঁধ কাজ করবে। ইতিমধ্যেই বিশেষ প্রকল্পের ৫টি বাঁধের কাজই শেষ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জাউয়াবাজার ইউনিয়নের কুড়িবিল ও এর আশপাশে রয়েছে শহস্রাধিক হেক্টর বোরো জমিন। কুড়ি বিলের খাল, উগলীছড়া, তারাপুর খেলুর ঢালা, গনীর হাওরের ঢালা ও মৌ-আলুর খাল হল কুড়ি বিলের প্রবেশ মুখ।

এসব খাল দিয়ে গত বছর বন্যার পানি প্রবেশ করে বোরো ফসল তলিয়ে গেছে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন।

বিষয়টি স্থানীয় এমপি মুহিবুর রহমান মানিক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুরাদ হুসেন এসব ভাঙ্গায় বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ কাজের মৌখিক নির্দেশনায় ৫টি ছোট বড় বাঁধ নির্মাণ করা হয়।

গত ২৫ মার্চ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট পওর’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বরাবরে সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী খুশী মোহন সরকার কর্তৃক প্রেরিত এক চিঠিতে খাল সমুহের মুখ ও বাঁধের ব্রীচ বন্ধকরনে উগলীছড়া মুখে ০.০৪৫ কি.মি বাঁধের বিপরীতে ৩ লক্ষ ৪৫হাজার টাকা, কুড়ি বিল, গনীর ঢালা ও তারাপুর-সুড়িগাঁও ভাঙ্গায় ০.১ কি.মি বাঁধের বিপরীতে ৪ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা এবং মৌ-আলুর ভাঙ্গায় ০.০৭ কি.মি বাঁধের বিপরীতে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্ধ চেয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়।

প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মৌখিক নির্দেশনায় গত ২৫ মার্চ বিশেষ প্রকল্পের বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু করেন ঠিকাদার সাদিকুর রহমান ৪ এপ্রিল কাজ সমাপ্ত করেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান, এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের প্রচেষ্টায় এসব বাঁধ নির্মাণ করায় জাউয়ার কুড়িবিলসহ দেখার হাওরের কৃষকরা আগাম বন্যার কবল থেকে বোরো ফসল রক্ষায় অনেকাটাই নিরাপদে রয়েছে।

ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বাঁধের নির্মান কাজ পরিদর্শন করেছেন।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাদত হোসেনের তত্বাবধানে ড্রেসিং, কম্পোকেশন, দূর্বাঘাসহ নির্দেশনার চেয়ে প্রত্যেকটি বাঁধের কাজ অনেক বেশী করতে হয়েছে ঠিকাদারকে। বর্তমানে বাঁধের রক্ষনাবেক্ষন করা হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক বাগারাই গ্রামের বাতির মিয়া, পাটলী গ্রামের মনির মিয়া, তারাপুর গ্রামের খেলু মিয়া, দেবেরগাঁও গ্রামের লেচু মিয়া জানান, পাহাড়ী ঢল ও সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাকুড়া খাল হয়ে জাউয়া বুকা নদী দিয়ে রাঙ্গা ডিঙ্গা ও ডাবর মহাসিং নদীতে প্রবেশ করে দেখার হাওর প্লাবিত হয়।

বিশেষ প্রকল্পের এসব বাঁধ নির্মাণের ফলে কুড়ি বিল ছাড়াও গজারী খাড়া, গুয়া বিল, সুড়িগাঁও, বাদেশ্বরী, শিংড়া-কৈ বিলের বোরো ফসল রক্ষায় কার্যকর হবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৬ এপ্রিল ২০১৮/এমএ/ডিজেএস

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন