সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-১৬ ১০:৫৯:১৮
ফরিদ উদ্দিন, ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি :: বৈশাখী বৃষ্টিপাতে হাওরের জমিতে পানি জমে গবাদি পশুর খাদ্য ঘাস সংকট দেখা দিয়েছে। মাঠ, হাওরে পানি জমে যাওয়ায় মিলছে না ঘাস। যে কারণে অপুষ্টিতে আক্রান্ত হচ্ছে গরু ছাগল মহিষ। ঘাসের অভাবে দিশেহারা গৃহস্থরা।
এলাকার মানিককোনা, সুরিকান্দি,গয়াসি,গঙ্গাপুর-সুলতানপুর, মল্লিকপুর হাওরসহ সর্বত্র ঘাস সংকট প্রকট। বিকল্প হিসাবে আছে খড়, ভুষি। কিন্তু টাকার কারণে এগুলো কেনার সামর্থ্য নেই অধিকাংশ দরিদ্র কৃষকের।
তারা জানান, হাওর মাঠের পানি না কমলে প্রবল বিপাকে পড়বেন তারা। তা ছাড়া হাটু সমান পানিতে ঘাস কাটায়ও আছে সাপের ঝুঁকি। জোকের প্রকোপও খুব বেশি। আছে পঁচা পানির চুলকানি সহ্য করেও ঘাস যা সংগ্রহ হয় তাও পঁচা।
কৃষক মতিন মিয়া বলেন, নিরুপায় হয়ে বাড়ির ফলানো সবজি, কলা পাতা দেই গবাদিপশু গুলোকে। দিপা দাস বলেন, গাভী দুধ দেওয়া কমিয়ে দিয়েছে বাধ্য হয়ে রান্না করা ভাত খেতে দেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গৃহস্থ জানান, এ সুযোগে কেউ কেউ মজুদকৃত খড় বিক্রী করছেন, কিন্তু তার দাম চড়া। তারা জানান, খড়, ভূষি মজুদকারীরা যদি দাম না কমান, তাহলে অপুষ্টির শিকার হয়ে গাভির দুধ উৎপাদ বন্ধই হয়ে যাবে।
গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা কৃষি ও উদ্ভিদ কর্মকর্তা মো. মিছির আলী পরামর্শ দেন যে, কৃষকরা যোগাযোগ করলে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিস খড়কে পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ করে প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থা শিখিয়ে দিবেন। তাতে অপুষ্টতা কাটবে, সাথে সাথে দুধ উৎপাদন স্বাভাবিক থাকবে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৬ এপ্রিল ২০১৮/ এফইউ/ এক