আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

শাবাব-মাহি হত্যাকান্ড: ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে সমালোচনা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-২০ ১২:০২:৫১

ওমর ফারুক নাঈম, মৌলভীবাজার:: মৌলভীবাজারে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলে নিহত মোহাম্মদ আলী শাবাব ও নাহিদ আহমদ মাহি হত্যাকান্ডের সাথে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের যোগসাজশ নিয়ে ব্যাপক সমালোচান সৃষ্ট্রি হয়েছে।

বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নানা মন্তব্য করছেন অনেকেই।

অনেকেই মনে করছেন, ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনকে ঘিরেই এই হত্যাকান্ড এবং পরিকল্পিত খুন। আগামী ২৩ এপ্রিল জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ঘটনার ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে এ বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে চার্যশীট তৈরীর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০ জানুয়ারী আহমেদ শান্ত নামের আইডি থেকে ব্যাপক সমালোপচনা করে পোস্ট করা হয়। পোস্টে উল্লেখ করা হয় ‘এখন বুঝলাম আসল বিষয়। হত্যার পিছনে কারণ কী। ‘মূল ছাত্রলীগ কে মামলা দিয়ে তাদের বাইরে রেখে জেলার সম্মেলনের তারিখ ঠিক হয়েছে’। এর মানে কী? হত্যা টা কী এর জন্য করা হয়েছে। শাবাব একজন শক্ত প্রতিদ্বন্ধী ছিল বলে আগে থেকেই প্ল্যান ছিল এগুলো। কিছু ছেলেদের দিয়ে হত্যা করিয়েু যে মেইন হোতা সে বেঁচে যাবে মনে করেছিল।

শাবাব ও মাহি হত্যার বিচার চাই নামের একটি আইডি থেকে গত ১২ এপ্রিল পোস্ট করা হয়। ঐ পোস্টে উল্লেখ করা হয় ‘হ্যা, আর কিছুদিন পরই সেই আমার ভাইয়ের (শাবাব) প্রানের সংগঠন, জানের সংগঠন ছাত্রলীগের সম্মেলন। কিন্তু নেতা সবসময়ই যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচন করেন, সেই যোগ্য প্রার্থীর তালিকায় আমার ভাইয়ের নাম ছিল, উনি বলতে গেলে ছিলেন একজন শক্তিশালী প্রার্থী। খুনী তুষারও অ নিজ থেকে সে তাকে প্রার্থী ভাবত। সে সবসময় ভয় পেত যদি আমার সাবাব ভাই পদ পেয়ে যায় সে পায় না।  এর থেকে তার ভিতরে একটি ভয় কাজ করা শুরু করে, সেই কারনেই হয়তবা কুলাঙ্গার খুনি তুষার আমার ভাইকে হত্যা করে।’

এমনকি এই হত্যাকান্ডের  প্রধান আসামী আনিসুল ইসলাম তুষারের ভাই আমিনুল ইসলাম তমাল তার ফেইসবুক আইডি থেকে গত ৯ এপ্রিল একটি পোস্ট দেয়। পোস্টেটে উল্লেখ কওে ‘বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের অনেকেই দেখছি সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী যাদের অনেকেই উড়ে এসে জোরে বসেছেন। নেতাদের সাথে কিছু ছবি তোলেই উনারা হয়ে গেছেন রাজপথ কাপানো ছাত্রনেতা। আপনাদের কারনেই আজ দূর্দিনের  ত্যাগীরা রাজপথ থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ত্যাগীদের মূল্যায়ন দেন নয়ত রাজপথে কর্মি খোজে পাবেন না।’

এবিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোহেল আহম্মদ বলেন, ‘এপর্যন্ত ৫জন আসামী গ্রেফার করা হয়েছে। ২জন আসামী আত্মসমর্পন করেছেন। বাকী আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।’

ছাত্রলীগের সম্মেরনের যোগসাজস আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি আমরা তদন্ত করছি। তদন্তধীন বিষয়ে কাউকে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান রণি বলেন, ‘সম্মেলনের বিষয়ে আমার জানা নেই। কেন্দ্র থেকে আমাকে কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। ফেইবুক এখন ফেইকবুক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেইসবুকে জীবণ চলত নায়। ফেইসবুকে কি কী লেখা অইছে এটা দেখা আমার দায়িত্ব নায়।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২০ এপ্রিল ২০১৮/ওএফএন/এক

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন