Sylhet View 24 PRINT

কলাপাড়ায় কিশোরী ধর্ষণ, মামলা

অভিযুক্ত কাউন্সিলর সালেহ’র মামা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-২৪ ০০:২৮:০৬

অভিযুক্ত সোহেল মিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট নগরীর ১০নং ওয়ার্ডের শেখঘাট কলাপাড়া এলাকায় এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টার দিকে কলাপাড়া ডহর আবাসিক এলাকার সোহেল মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একই এলাকার মোছা. তানজিনা বেগম বাদী হয়ে রবিবার সিলেট কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

২০০০ সালের ৯(১) ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ মোতাবেক এ মামলায় আসামী করা হয়েছে শেখঘাট কলাপাড়া ডহর আবাসিক এলাকার সোহেল মিয়াকে। মামলা নং ৪৯/১৮৮। সোহেল মিয়া সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালেহ আহমদের মামা।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়- অভিযুক্ত সোহেল মিয়ার স্ত্রীর অনুরোধে বাদী তাদের বাড়িতে গৃহস্থলির কাজের জন্য ভিকটিমকে তিন বছর আগে এনে দেন। প্রায় তিনবছর ধরে মেয়েটি তাদের বাড়িতে কাজ করে আসছে। সম্প্রতী ভিকটিমের উপর বাসার কর্তা সোহেল মিয়ার ললুপ দৃষ্টি পরে। সে বিভিন্নভাবে তাকে যৌন নির্যাতন করতে থাকে। কিন্তু, ভিকটিম লোকলজ্জার ভয়ে ভীত হয়ে বিষয়টি প্রকাশ করত না।

গত ১৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভিকটিম কান্নারত অবস্থায় আমার বাসায় আসলে আমি তাকে জিজ্ঞেস করি কি হয়েছে? তখন সে জানায় ১৪ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১টার দিকে বাড়ির গৃহকর্তা সোহেল মিয়া চুপিসারে তার কক্ষে প্রবেশ করে তাকে ঝাপটাইয়া ধরে এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর সোহেল মিয়া ভিকটিমকে শাসিয়ে বলে- এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে হত্যা করে লাশ সুরমা নদীতে ফেলে দেবে। এসময় ভিকটিমের মুখে ঘটনা শুনে বাদীর স্বামী, ভাইসহ আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে সোহেল মিয়ার বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তারা ঘটনার বিচারপ্রার্থী হলে সে তাদেরকে এই বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেয়। এমনকি এ ঘটনায় কোন মামলা মোকদ্দমা না করারও হুমকি দেয়। তখন বাদী ও তার স্বামী মিলে ভিকটিমকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান এবং সেখানে তিনদিন চিকিৎসা শেষে তারা ১৮ এপ্রিল ভিকটিমকে ছাড়পত্র দেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সোহেল মিয়ার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ঘটনা সম্পুর্ণ সাজানো নাটক দাবী করে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালেহ আহমদ বলেন- এই ধর্ষণের সাথে অন্য লোক জড়িত। অভিযুক্ত ব্যাক্তি সম্পর্কে তার মামা কি না এমন প্রশ্ন করলে তিনি মোবাইল সংযোগ কেটে দেন। পরবর্তীতে তিনি আর কল রিসিভ করেননি।

মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট কোতোয়ালী থানার ওসি বলেন আসামীকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে এস আই নুরে আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়েছে কিন্তু তাকে পাওয়া যায় নি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৪ এপ্রিল ২০১৮/শাদিআচৌ/ডিজেএস

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.