সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-২৪ ০০:৩২:৩৮
ফরিদ উদ্দিন, ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি :: সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ভিজিএফের চাল আত্মসাতের কেলেঙ্কারি বেড়েই চলছে। এর পেছনে টোকেন বানিজ্যের হোতাদের নাম বেরিয়ে আসছে অনুসন্ধানে।
রবিবার (২২ এপ্রিল) ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল সরিয়ে ফেলায় অনেক ভিজিএফ কার্ডধারীরা চাল না পেয়ে হট্টগোল করেন। এসময় দুঃস্থদের ঠেকাতে লাঠিপেটা করেন ঘিলাছড়া ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা দানিয়ল আহমেদ। লাঠি পেটা খেয়ে মহিলারা পিছিয়ে গেলেও রুখে দাড়ান দুঃস্থ পুরুষরা। তারা দাবি করেন তাদের কার্ডের চাল না দিলে তারা অবস্থান ছাড়বেন না। তাদেরকেও তাড়াতে লাঠিপেটা করা হয়। দুঃস্থরা ফুঁসে উঠলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশের সাহায্য নেন ঘিলাছড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আশরাফ বাবুল।
কিন্তু বিতরণ করা টোকেনের বরাদ্দকৃত চাল না থাকার কারন কি? কার্ডধারীরা চাল পেলো না কেন? সেই চাল গেলই বা কোথায়? এরকম প্রশ্ন নিয়ে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাল পাচারের তথ্য।
আজকের হট্টগোলের সময় ধারণ করা ভিডিওচিত্রে দেখা যায় চাল পাচার হয়ে গেছে বলে লোকজন অভিযোগ করেন । সে অভিযোগের সুত্রে খুঁজে বের করা হয় চাল পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রলির চালক রানু মিয়াকে। তিনি স্বীকার করেন, গতকাল (শনিবার) সকালবেলা চেয়ারম্যান আশরাফ বাবুলের নিজস্ব ৭-৮ জন লোক তার ট্রলি ভাড়া করে ঘিলাছড়া ইউনিয়ন অফিসে নিয়ে আসেন। ওখানে চেয়ারম্যান আশরাফ বাবুল অফিসে উপস্থিত ছিলেন। ঐ ৭-৮ জন লোক ২৮ বস্তা চাল ট্রলিতে উঠয়ে চেয়ারম্যান আশরাফ বাবুলের বাড়ির পাশে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসে আনলোড করান। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠলেও ভয়ে কেউ কিছু বলেন নি।
এ ২৮ বস্তা চাল পাচারের বিষয় নিয়ে আলাপ হয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আশরাফ বাবুলের সাথে, তিনি বলেন গতকাল ট্রলিতে চাল গিয়েছে সত্য কিন্তু কেউ ষড়যন্ত্র করে আমার সম্মান নষ্ট করতে আমার ব্যক্তিগত অফিসের বারান্দায় চালগুলো রেখে গেছে।
তিনি নিজে ইউনিয়ন অফিসে উপস্থিত থাকার পরও চাল নিয়ে যাওয়া হলো কিভাবে- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডে চাল বিতরণ করা হয়েছে, সেগুলো সেই চাল হতে পারে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৪ এপ্রিল ২০১৮/এফইউ/পিডি