আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ফেঞ্চুগঞ্জে কে এই দানিয়ল?

ভিজিএফ’র চাল বিতরনে হয়রানি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-২৪ ১৩:০৯:০৩

ফরিদ উদ্দিন, ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি :: গরীব দুস্থদের জন্য সরকারী বিশেষ বরাদ্দকৃত (ভিজিএফ) চাল না পাওয়ায় গত সাপ্তাহ থেকে সমালোচনায় মুখল ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা।

অর্থলোভ, টুকেন বানিজ্যের জন্য মনগড়া তালিকা তৈরির কারণে ভিজিএফ চাল বিতরণ জগাখিচুড়ি হয়ে উঠেছে। ঐ তিন কারণ কাজে লাগিয়ে ফায়দা নিচ্ছে চাল পাচারকারী সিন্ডিকেট।

আবার প্রাপ্য চাল নিতে এসে মার খাওয়াসহ নানা হয়রানিতে শিকার হচ্ছেন চাল নিতে আসা হতদরিদ্ররা।

রবিববার ভিজিএফ’র চাল বিতরণ হয় ফেঞ্চুগঞ্জ ০৩নং ঘিলাছড়া ইউনিয়নে। কিন্তু বিতরণের আগেই ট্রলি দিয়ে চাল পাচার হয়ে যাওয়ায় মজুদ থেকে চাল কমে সংকট দেখা দেয়। ভিজিএফ কার্ডধারীরা চাল না পেয়ে হট্টগোল করেন। তারা ক্যামেরার সামনে চাল পাচার ও তাদের লাঠিপেটার অভিযোগ করেন।

চরম দরিদ্ররা নিজেদের অধিকার আদায়ে অনড় অবস্থান নিলে পুলিশি সহায়তায় পালিয়ে যান ঘিলাছড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আশরাফ বাবুল। লোকজন অভিযোগ করেন, তাদের কাছে ৫০০/১০০০ টাকা চাদা দাবি করেছেন উপজেলা সেচ্ছাসেবলীগ যুগ্ম সম্পাদক সুহেল আহমেদ!

দুঃস্থরা সাংবাদিকদের কাছে লাঠিপেটা ও চাল পাচারের অভিযোগ করলে সাংবাদিদের সরে যাওয়ার হুমকি দেন নামধারী  সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা দানিয়ল আহমেদ! কিন্তু সাংবাদিক অনড় থাকলে   চেয়ারম্যান আশরাফ বাবুলের ইশারায় লাঠিচার্জ করে পুলিশ ও দানিয়ল।
এর আগে দানিয়ল ও সঙ্গীয় কয়েকজন মিলে চাল নিতে আসা একাধিকবার লাঠি পেটা করেন।

তাদের লাঠিপেটায় আঘাতপ্রাপ্তরা হলেন ০৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সকিনা বেগম, ফজলু মিয়া, জুনাব আলী, ২নং ওয়ার্ডের কুটন বিবি, ফয়সল আলী, সফিকুল আলী, ৪নং ওয়ার্ডের  আব্দুল জব্বার  ০৬নং ওয়ার্ডের আব্দুল মন্নান, তার মা ও আরও কয়েকজন।
কিন্তু তাদের অপরাধ কি? চাল তো পাননি উল্টো মার খেলেন! আঘাতকারী বেপরোয়া এই দানিয়লইবা কে?

অনুসন্ধানে জানা যায়, দানিয়ল আগে টেম্পুর হেলপার ছিলেন। তারপর আস্তে আস্তে একটা গ্রুপ তৈরি করে  বখাটে হয়ে উঠে। তার বেপরোয়া আচরণে সবাই ভয় পায়।

আরো জানা যায়, দানিয়লের শেল্টারদাতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আশরাফ বাবুল। তিনিই তাকে পোষে রেখে নানা কাজ করান। এমনকি চাল বিতরণের আগের দিনে ২৮ বস্তা চাল পাচার করে চেয়ারম্যান আশরাফ বাবুলের বাড়ির পাশে ব্যাক্তিগত বৈঠকখানায় রাখা হয় যা পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করেন এই দানিয়ল!

দুঃস্থরা লাঠিপেটার বিচারতো পায়ইনি, পায়নি প্রাপ্য চালও! কিন্তু দানিয়লদের বিচার করার কি কেউ নাই?

ক্যাডার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করিয়ে দুঃস্থদের নিপিড়ন করা চেয়ারম্যানরা কি পার পেয়ে যাবে?

লাঠিচার্জের প্রশ্নে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আশরাফ বাবুল বলেন, ঐ ভবে লাঠিচার্জ নয়। ৫/৭০০ লোক হয়ে যাওয়া শৃংখলা করতে একটু ধাক্কাধাক্কি করা লাগছে। লাঠিচার্জের প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নিবেন, বললে উনাকে ভিডিও ফুটেজের কথা বলা হয়। তখন তিনি আর কথা বললেন নি।

স্থানীয়রা বলেন, অবশ্যই লাঠিপেটা হয়েছে। অসহায় দরিদ্র লোকজন ক্ষেপে উঠলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তারা প্রশ্ন রাখেন, পরিস্থিতি খারাপ না হলে পুলিশি নিয়ন্ত্রণ লাগবে কেন?

আর চেয়ারম্যান পুলিশি হেফাজতে ইউনিয়ন ছাড়লেন কেন?

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২৪ এপ্রিল ২০১৮/এফইউ/এক




@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন