সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-২৬ ১৩:১৭:২৫
তাহিরপুর প্রতিনিধি :: টাঙ্গুয়া হাওরের নজরখালী ক্লোজার বাঁধটি দেবে স্থানে স্থানে ফাটল ধরায় যে কোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে হাওরের ৫ হাজার একর জমির ধান পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ার আশংখা দেখা দিয়েছে কৃষকদের মধ্যে।
টাঙ্গুয়া হাওরপাড় গোলাবাড়ি গ্রামের আবুল ইসলাম (৫০)জানান, প্রতি বছর এ বাঁধটি টাঙ্গুয়া হাওর সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সহযোগীতায় বাঁধটি নির্মান করে থাকে। টাঙ্গুয়া হাওরের যে সমস্ত জলমহাল পারমিটে ইজারা দেয়া হয় ঐ সকল পারমিটের টাকা থেকে বাঁধে ব্যয় করা হয়। চলতি বছর এ বাঁধটিতে প্রাক্ষলন ব্যয় ধরা হয় ১০ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে টাঙ্গুয়া হাওর সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধক্ষ খসরুল আলম বলেন, বিগত বছর হাওরের সকল ফসল ডুবির কারণে এ বছর বাঁধটি নির্মানের জন্য টাঙ্গুয়া হাওর সহ ব্যবস্থাপনা কমিটি থেকে ১০ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এ বাঁধ নির্মানের জন্য টাঙ্গুয়া হাওরপারের উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের বাদল মিয়াকে প্রকল্প চেয়ারম্যান, উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ওয়াহিদ মিয়াকে সেক্রেটারী করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে এ বাধেঁর দায়িত্ব দেয়া হয়।
নজরখালী বাঁধ এলাকার গোলাবাড়ি গ্রামের গোলাম মোস্তফা (৫৫) বলেন, নজরখালি বাঁধের কাজটির গুনগতমান ভাল না হওয়ার কারণে বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। কাজে শুরুতেই তারা বলেছিলেন দুর্মূজ করে বাঁধে মাটি ফেলানোর জন্য। প্রকল্প কমিটির লোকজন তাদের কোন কথায় শুনেননি। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে হাওরে ধান কাটার পুরো মৌসুম। এ অবস্থায় হাওরপারের লোকজন তাদের ধান কাটবে না বাঁধের দিকে খেয়াল রাখবেন।
বাঁধ এলাকার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাজিনুর মিয়া বলেন, নজরখালী বাঁধটি টাঙ্গুয়া হাওর সহব্যবস্থাপনা কমিটি করে থাকে। এলাকার লোকজন তাকে জানিয়েছে বাঁধটি দেবে ফাটল ধরেছে। তিনি আরো জানান, টাঙ্গুয়া হাওর নজরখালি বাঁধের ভিতরে যে সমস্ত হাওর গুলো রয়েছে সেগুলো হলো, এরালিয়াকোনা, গনিয়াকুরি, লামারগুল, টানেরগুল, নান্দিয়া, মাজেরগুল, টুঙ্গামারা, সুনাডুবি, গলগলিয়া, শামসাগর। এ সবগুলো হাওর মিলে প্রায় ৫ হাজার একর জমির ধান তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্খা রয়েছে।
শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খসরুল আলম বলেন, টাঙ্গুয়া হাওর সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির লোকজন এ বাঁধটি বিলের পারমিটের টাকা দিয়ে প্রতি বছরই নির্মান করে থাকে। কাজটি ভালভাবে না করার কারলেই এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইমরান হোসেন বলেন, টাঙ্গুয়া হাওরের নজরখালি ক্লোজার বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে নয়। বাঁধটি টাঙ্গুয়া হাওর সহব্যবস্থাপনা কমিটি সম্পন্ন করেছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৬ এপ্রিল ২০১৮/এআর/এক