Sylhet View 24 PRINT

‘আব্দুল করিমকে কখন ভুলা চলে না’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৫-১৯ ১২:৫৬:২৪

হিল্লোল পুরকায়স্হ, দিরাই প্রতিনিধি :: গান ছিল তার প্রাণ, গান লিখে জুড়িয়ে দিয়েছেন দেশ বিদেশের মানুষের মন প্রাণ সে আর কেই নয় বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম। শুক্রবার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের  উকারগাঁও গ্রামের আফিল জান (৬০) সিলেটভিউকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে  বলেন, বাউলগানের অমর সৃষ্টিকারি বাবা আব্দুল করিমকে কখন ভুলা চলেনা শাহ আব্দুল করিম ছিলেন আমার মুরসিদ। আমি ৩০ বছর শাহ আব্দুল করিমের সেবা করেছি।
তিনি বলেন আমি আব্দুল করিমকে বাবা বলে ডাকতাম, আমাদের উকারগাঁও গ্রামে ছিল বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের মুরসিদ বাড়ি সেই সুবাদে তিনি যখন এখানে আসতেন আমি উনার সেবা করতাম, উনাদের ভোজনের ব্যবস্হা করতাম। বাবা ছিলেন আমার মুরসিদ। বাবা আব্দুল করিমের কথা কি বলব তিনি মানুষের জন্য গান লিখেছেন, গানের মধ্যদিয়ে মানুষের জীবন বৈচিত্র্য তুলে ধরেছেন, তার গানেই ফুটে উঠেছে আধুনিক দর্শন চিন্তা।
বাবার গানে ফুটে উঠেছে মানব বৈচিত্রের প্রেমলীলা বাবা প্রেমের গান লিখতেন যা পৃথিবীর সারা বাংঙ্গালীর মনে সারা জাগিয়ে ছিল।বাবার কখন টাকা পয়সায় লোভ ছিলনা তিনি বসবাস করতেন মাটির ঘরে। আমি যখন দিরাইয়ের উজানধল গ্রামে বাবা আব্দুল করিমের বাড়ি যেথাম, সেখানে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতাম। বাবা গানের টানে কোথায় যেন চলে যেথেন কয়েকদিন পর আবার বাড়ি ফিরতেন।বাবা কখন টাকা পয়সাকে বড় করে দেখতেন না।
আফিল জান  বলেন, সরলা যখন মারা যায় বাবা তখনও সিলেট ছিলেন বাবার সাথে শাহ নূর জালাল ছিল। তখন মোবাইল ছিল না, নাসির উদ্দিন চৌধুরী সাহেব সেই দিন বলেছিলেন আব্দুল করিম আসার পর সরলার কবরে মাটি দেওয়া হবে। তিন দিনপর বাবা আব্দুল করিম যখন নূর জালালকে নিয়ে আসলেন তখন সরলার কবরে মাটি দেওয়া হল।
বাবা একবার রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখন আমি বাবাকে দেখতে গিয়ে ছিলাম আর সেই সময় পাঁচদিন বাবার সেবা করার সুযোগ হয়েছিল।
সিলেটভিউ২৪ডটতম/১৯ মে ২০১৮/হিপু/ইআ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.