আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

বিশ্বনাথে আবদুস সালামের মুক্তির দাবিতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৫-২০ ১৮:০৯:২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিশ্বনাথ :: দৈনিক ইনকিলাব ও সিলেট বাণী’র বিশ্বনাথ প্রতিনিধি সাংবাদিক আবদুস সালামের মুক্তির দাবিতে সিলেটের বিশ্বনাথে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

রোববার দুপুর ২টায় উপজেলা সদরস্থ বাসিয়া সেতুর উপর বিশ্বনাথে ‘প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক’ মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দের ব্যানারে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিলম্বে সাংবাদিক আবদুস সালামের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের দাবি করে বলেন, যে মামলার সাথে সাংবাদিক আবদুস সালামের সংশ্লিস্টতা না পেয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ তদন্ত শেষে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে ছিল। আবার যা আপোষ-মিমাংশায়ও শেষ করেন এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা। সেই মামলাই আবার কিভাবে সাংবাদিক আবদুস সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়, ত বুঝার কোন উপায় নেই। তাছাড়া গ্রেপ্তারের পর ‘চিলের ছো’ মেরে নিয়ে যাওয়ার মতো সাংবাদিক সালামকে যেভাবে ‘টেনে-হিছড়ে’ নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা মানবাধিকার লঙ্গনের সামিল ও দুঃখজনক।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক আবদুস সালামের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী ইমরান হোসেন বাবুল’কে ‘ভ‚য়া মেজর’ পরিচয় প্রদানের অভিযোগে ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। ৮ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় দৈনিক বিভিন্ন পত্রিকায় “বিশ্বনাথে ভূয়া মেজর আটকে জনমনে স্বস্থি: লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এসময় এলাকার মানুষ ইমরান হোসেন বাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে বিভিন্ন সময়ে তিনি (ইমরান) নিজেকে ‘মেজর, সাংবাদিক, সাংবাদিক সংস্থার লোক, র‌্যাবের র্সোস’ পরিচয় তিনি সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এমনকি ইমরান তার নিজ গ্রামের ‘আব্দুর রহমান’ নামক এক যুবককে পারিবারিক রেষারেষির কারণে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে অস্ত্রসহ র‌্যাব দিয়ে ধরিয়ে দিয়ে ছিলেন বলেও অভিযোগ ছিল। এরপরও ওই ইমরান হোসেন বাবুলের দায়ের করা একটি মিথ্যা মামলায় সাংবাদিক আবদুস সালামকে কিভাবে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর লোকজন। সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান সাংবাদিকরা’সহ বিশ্বনাথের সাধারণ জনগণ।

সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিষ্ট এএইচএম ফিরোজ আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন- দৈনিক উত্তরপূর্ব ও সিলেটভিউ২৪ ডটকমের প্রতিনিধি প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, দৈনিক সমকাল ও কাজির বাজারের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, দৈনিক বাংলাবাজারের প্রতিনিধি মাওলানা শহিদুর রহমান, দৈনিক যুগান্তর ও যুগভেরীর প্রতিনিধি আশিক আলী, কে.টিভি ও দৈনিক তৃতীয় মাত্রার প্রতিনিধি রোহেল উদ্দিন, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির প্রতিনিধি মশিউর রহমান, দৈনিক মানবজমিন ও শ্যামল সিলেট প্রতিনিধি আখতার হোসেন সাহেদ, দৈনিক যায়যায়দিন প্রতিনিধি কামাল মুন্না, বিশ্বনাথ টুয়েন্টিফোর ডটকমের প্রকাশক আনহার আলী, নির্বাহী সম্পাদক নবীন সোহেল, ডেসটিনি প্রতিনিধি মিছবাহ উদ্দিন, সাপ্তাহিক সময়চিত্র প্রতিনিধি বদরুল ইসলাম মহসিন ও সাংবাদিক পাবেল সামাদ।

উল্ল্যেখ, গত রোববার (১৩ মে) বিশ্বনাথ বাজারস্থ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি পুলিশ। সোমবার (১৪মে) তাকে কতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়। পর দিন সিআইডি পুলিশ ৩দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এদিকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার বৃদ্ধ মাতা-পিতা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ও তার অবুঝ শিশুরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে। এ ঘটনায় উপজেলার সাংবাদিকবৃন্দের মধ্যে ক্ষোভ ও আতংক বিরাজ করছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/২০ মে ২০১৮/পিবিএ/এসডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন