আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বড়লেখার হাসান হত্যা: যে যেভাবে রহস্য উদঘাটন করে পিবিআই

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৫-২৪ ২২:০৮:৩৬

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় তাপ্পরের প্রতিশোধ নিতে স্কুল ছাত্র আব্দুল্লাহ হাসানকে (১৫) নির্মমভাবে খুন করে তার প্রাইভেট গাড়ী চালক এরশাদ মিয়া (৩৭)। হত্যাকান্ডের ব্যপারে আজ বড়লেখার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্যাট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এরশাদ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পিবিআই এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন। ঘটনার চার মাস পর হত্যাকান্ডের এই রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।

ছেলে হাসানের নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে ২৩ জানুয়ারি দেশে ফিরেন আব্দুর রহিম। নিখোঁজের ১০ দিন পর ২৮ জানুয়ারি রাতে মোহাম্মদনগর এলাকার একটি নির্জন টিলার ঢালু স্থানে আব্দুল্লাহ হাসানের খন্ডিত পচা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৩০ জানুয়ারি নিহতের বাবা প্রবাসী আব্দুর রহিম পূর্ব শত্রæতার বিষয়টি মাথায় রেখে ৬ জনকে আসামি করে বড়লেখা থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করে রিমান্ডেও নেয়। বর্তমানে ৫ আসামী জামিনে আছেন। অপরদিকে হাসানের হত্যাকান্ডটি চাঞ্চল্যকর ও রহস্যজনক হওয়ায় পিবিআই হেড কোয়ার্টারের ডিআইজির নির্দেশে মামলার তদন্ত  শুরু করে মৌলভীবাজার পিবিআই।

কোন ধরণের বিশেষ সূত্র ছাড়াই সামনে চলে পিবিআই। তদন্তের এক পর্যায়ে তাঁদের সন্দেহ নিহত হাসানের ড্রাইভার এরশাদের দিকে যায়। এরশাদের পরিবারকে ঘটনার কয়েকদিন আগে ঢাকা পাঠিয়ে দেয়া, সবসময় রাতের খাবার হাসানের ঘরের ২য় তলায় গিয়ে খেলেও ঘটনার দিন না খাওয়া, ঘটনার দিন রাতে হাসানের মা’র কল রিসিভ না করাসহ বিভিন্ন কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করে তদন্ত করে তারা। এছাড়াও এরশাদ গত ২৭ এপ্রিল চাকুরী ছেড়ে দেয় এবং দাড়ি রেখে চেহারা পরিবর্তন করে। গত শনিবার (১৯ মে) মৌলভীবাজার থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে এরশাদ। এরপর গতকাল বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে। ঘাতক এরশাদ ভোলা জেলার শশীভূষন থানার চরমায়া গ্রামের  কবির শিকদারের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হাসানকে খুন করতে ঘাতক এরশাদ খাসিয়া দা ব্যবহার করে। ওইদিন রাতে স্যামসাং জে-থ্রী মোবাইলের ফ্লাশে তাকে টিলায় নেয় এরশাদ। পুলিশ ওই মোবাইল ও ঘাতকের পরনের জ্যাকেট উদ্ধার করলেও দা’টি এখনও উদ্ধার করা যায় নি। এসময় উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবিরুল ইসলাম।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৪ মে ২০১৮/ওফানা/এমকে-এম

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন