সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৬-১৩ ২২:১৪:১৯
ইমরান আহমদ :: সিলেটে গত কয়েকদিন ধরে ঈদবাজার জমজমাট চলছিল। ক্রেতাদের আনগোনায় গমগম করছিল পুরো নগর। তবে বৃষ্টির কারণে কমেছে ক্রেতা সমাগম। এতে বিক্রি কিছুটা গতি হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গত দুই দিন ধরে সিলেট নগরে বৃষ্টি হচ্ছে। কাঠফাটা রোদের পর এই বৃষ্টিতে মানুষ স্বস্তিই পাচ্ছেন। কিন্তু যারা ঈদের জন্য কেনাকাটা করেননি, তারা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে তারা বাইরে বেরোতে পারছেন না।
অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা আশায় ছিলেন শেষমুহুর্তে আরো জমজমাট হবে ঈদবাজার। ক্রেতার সংখ্যাও বাড়বে। কিন্তু তাদের সে আশায় গুড়েবালি!
নগরীর বন্দরবাজার, কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানারসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতের দোকানগুলো বৃষ্টির কারণে বন্ধ রাখেন দোকানিরা। আবার অনেকে পলিথিন, ছাতা ও ত্রিপল টানিয়ে বিকিকিনি চালিয়ে যান।
কোর্ট পয়েন্ট এলাকা ফুটপাতে বসা গেঞ্জি ও লুঙ্গি বিক্রেতা আবদুর রহমান সিলেটভিউকে বলেন, “গরিবের আর কি! মরার ওপর খাড়ার ঘা।”
“খাইল বিকাল থাকি বৃষ্টি কপাল খারাপ। বৃষ্টির লাগি তো দোকান বন্ধ রাখছিলাম। আমরা তো রাস্তায় বসি, বন্ধ না রাখলে তো ভিজা যাইব।”
বৃষ্টির কারণে ‘মনমতো’ বিক্রি করতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেন জিন্দাবাজারের প্যান্ট বিক্রেতা কবির আহমদ।
ফুটপাত ও রাস্তার উপরের দোকানগুলোর বিক্রেতারা পলিথিন ও ত্রিপল টাঙিয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতেও বিক্রি করছিলেন।
বন্দর বাজারের ফুটপাতে জুতা বিক্রেতা ফারুক আহমদ সিলেটভিউকে বলেন, “বার বার তো দোকান বন্ধ রাখা যায় না। তাই পলিথিন দিয়া রাখছি।’’
“কম বৃষ্টি হলে পলিথিন দেওয়া থাকলে কাপড় ভিজে না। বেশি বৃষ্টি হলে ত্রিপল দিয়া ঢাইকা দেই।”
ফুটপাতে বিকিকিনিতে ভাটা পড়লেও শপিংমলগুলোতে ততোটা প্রভাব পড়েনি। আজ বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই নগরীর শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তারা কেনাকাটা করতে বের হন।
জিন্দাবাজার শুকরিয়া মার্কেটে আসা মিরাবাজারের খলিলুর রহমান সিলেটভিউকে বলেন, “ঈদের বাজার বৃষ্টির কারণে অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই। এরপরও ছেলে মেয়েদের জন্য কেনাকাটা করতে হবে।”
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ জুন ২০১৮/ইআ/আরআই-কে