আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

গোলাপগঞ্জে হাজারো মানুষ পানিবন্দি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৬-১৭ ২২:২৯:২১

এনামুল হক এনাম, গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি :: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং অতিবর্ষণের ফলে গোলাপগঞ্জে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানিতে হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। 

শত শত বসতঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার সুরমা-কুশিয়ারা পারের হাজারো পরিবারে নেই ঈদ আনন্দ। গৃহহীন হয়ে শতাধিক পরিবার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানিতে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। সুনামপুর-চন্দরপুর সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গোলাপগঞ্জের সাথে বিয়ানীবাজারের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি হঠাৎ করে বৃদ্ধির ফলে  বুধবারীবাজার, উত্তর বাদেপাশা, বাঘা, শরীফগঞ্জ, ঢাকাদক্ষিণ, ভাদেশ্বর, ফুলবাড়ি, গোলাপগঞ্জসহ উপজেলার প্রত্যেটি ইউনিয়ন কমবেশি প্লাবিত হয়েছে।

বন্যাকবলিত এলাকায় গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক স্থানে মৎস্য খামারিদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে উপজেলার বন্যার পানিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ বুধবারী বাজার ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, বন্যার পানিতে বাড়ি নিমজ্জিত হয়ে পড়ায় অনেক পরিবার মালামাল নিয়ে অন্যত্র সরে যাচ্ছেন। ইউনিয়নের বেশ ক’টি স্থানে কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে কটলিপাড়া, বাণীগ্রাম, বহরগ্রাম, ছত্রিশ, কালিজুরী, বাগিরঘাট, কোনাগ্রাম, চন্দরপুরসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যাপরিস্থিতি সামাল দিতে কালিজুরী স্লুইচ গেইট কেটে দিয়েছেন এলাকাবাসী।

আজ (রবিবার) সকালে জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতে স্থানীয় হাজারো মানুষ স্লইচ গেইটটি কেটে দেয়া হয়। বুধবারীবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মস্তাব উদ্দিন কামাল জানান, স্লুইচ গেইটটি না কাটলে পুরো কালিজুরী, ছত্রিশ গ্রাম আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এই স্লুইচ গেইটের কারণে পানি নিষ্কাষন না হওয়ায় এলাকাবাসী এটি কেটে দিয়েছেন। বন্যা আক্রান্ত এলাকার মানুষদের সাহায্যার্থে ৫টন খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। শিক্ষামন্ত্রী আগামী পরশু এলাকায়আসলে পরবর্তী বরাদ্দ ঘোষণা করা হবে।

উত্তর বাদেপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ জানান, আমার নিজ এলাকায় অধিকাংশ লোকজন পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

এদিকে টানা বর্ষণে বাঘা ইউনিয়নের লালনগর তুড়গাও লামাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ সুরমা নদীর পানিতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। আউশের ক্ষেতগুলো তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের চোখেমুখে হাহাকার দেখা দিয়েছে। নতুন করে আরো বাড়ীঘরের পাশাপাশি রাস্তাঘাট, স্কুল, মসজিদ মাদ্রাসা বাজার প্লাবিত হওয়ায় শংকায় এসব এলাকার মানুষ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৭ জুন ২০১৮/এএইচ/পিডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন