আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে বিএনপির বিক্ষোভে মুখোমুখি ছাত্রদলের দুই পক্ষ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৬-২১ ১৮:১৯:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশকে ঘিরে ছাত্রদলের দু’টি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেট নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে। এ সমাবেশকে ঘিরেই বিবদমান দু’টি পক্ষ সুরমাপয়েন্ট ও তালতলাতে অবস্থান নেয়।

তবে নির্বাচন আচরণবিধিতে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানা পুলিশ সমাবেশ করতে দেয়নি। বন্ধ করার অনুরোধ করে। এ কারণে জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীমের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে সমাবেশ গুটিয়ে নেয় বিএনপি।

আর এর আগে থেকেই সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের দু’টি পক্ষ রেজিস্ট্রারি মাঠের দুই দিকে অবস্থান নেয়। এতে উভয় পক্ষে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা নগরীর কাজীরবাজার এলাকাতে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে কমিটি প্রত্যাখ্যানকারী নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয় নগরীর সুরমামার্কেট পয়েন্টে। এর আগে দু’টি পক্ষই নগরীতে শোডাউন করে। দলের চেয়ারপার্সনের মুক্তির দাবির পাশাপাশি পাল্টাপাল্টি শ্লোগানে মিছিলও হয়। সমাবেশ স্থগিত করার পর পুলিশ উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার বলেন, আমরা রিকাবীবাজার বিশাল মিছিল নিয়ে থেকে বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে তালতলা এলাকায় পুলিশের বাধার মুখে আটকা পড়ি। তিনি বলেন, কমিটিতে পদবঞ্চিতরাও আমাদের ছাত্রদলের নেতাকর্মী। তাদের সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। তারাও হয়তো দলের চেয়ারপার্সনের মুক্তির দাবিতে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। আমরা তাদের স্বাগত জানাই।

অন্যদিকে কমিটি প্রত্যাখ্যানকারীদের মধ্যে ছাত্রদল নেতা নজরুল ইসলাম, মাশরুর রাসেল, বদরুল আজাদ রানা দাবি করেন, সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপিকে দুর্বল করার লক্ষ্যেই ব্যর্থ কমিটি দেয়া হয়েছে। এর প্রমাণ আজকে পাওয়া গেল। রেজিস্ট্রারি মাঠে নতুন কমিটির কাউকে দেখা যায়নি। আমরা অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নতুন কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। এরপর থেকে ২৪ ঘন্টার মাথায় কমিটি থেকে ৮ শীর্ষ নেতা পদত্যাগ করেন। কমিটি ঘোষণার দুই দিনের মাথায় কমিটিপক্ষ ও কমিটি প্রত্যাখ্যানকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২১ জুন ২০১৮/ এমইউএ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন