Sylhet View 24 PRINT

সিলেটে কাকে চাইছেন অর্থমন্ত্রী?

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৬-২২ ০৯:১৪:১৭

দিব্য জ্যোতি সী, ঢাকা থেকে :: সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। মন্ত্রীপরিষদের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ এই সদস্য বিগত দুইমেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করে যাচ্ছেন। এরআগেও তিনি দেশের অর্থনীতি নিয়ে কাজ করেছেন।

দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় চালানোর পাশাপাশি তিনি দেশের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ সংসদীয় আসন সিলেট-১ (সিটি কর্পোরেশন-সদর) এরও টানা দুইবারের সাংসদ। মর্যাদাপূর্ণ এই আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার সুবাদে সিলেটের রাজনীতিতে রয়েছে আবুল মাল আব্দুল মুহিতের শক্ত অবস্থান। নিজে কোন বলয়ভিত্তিক রাজনীতি না করলেও অর্থমন্ত্রীকে ঘিরে সিলেট আওয়ামী লীগে রয়েছে একাধিক বলয়। এর বাইরেও যেসব বলয় সিলেটে সক্রিয় তারাও কখনও অর্থমন্ত্রীর ইচ্ছা কিংবা সিদ্ধান্তের বাইরে যান না।

শুধু স্থানীয় রাজনীতিতেই নয়, প্রবীণ এই নেতা জাতীয় রাজনীতিতেও অন্যতম ফ্যাক্টর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে অর্থমন্ত্রী মুহিতের মতামত নেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এমনকি জনশ্রুতি আছে, বৃহত্তর সিলেটের যেকোন ব্যপারে অর্থমন্ত্রীর পরামর্শকেই প্রাধান্য দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তাই, বিভিন্ন সময়ে সিলেটের রাজনীতির নেতৃত্বে কিংবা নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যপারে কে বা কারা আসবেন, সেটি অনেকটাই নির্ভর করে মুহিতের ইঙ্গিতের উপর।

আগামী ৩০ জুলাই সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সরকার দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কে পাচ্ছেন? এমন প্রশ্ন সিলেট নগরজুড়ে। তবে এ প্রশ্নের উত্তর আজই (শুক্রবার) পেয়ে যাবেন সিলেটবাসী। বিকালে সিলেটসহ তিন সিটির নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে বৈঠকে বসবে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড। সভা থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে কে হচ্ছেন সিলেটে নৌকার মাঝি। রাজশাহীতে প্রার্থী অনেকটা চূড়ান্ত হলেও সিলেট এবং বরিশালের ব্যপারে এখনও আলোচনায় আছেন একাধিক প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার ছিল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন ৬ জন। এদের মধ্যে পাঁচ জন আওয়ামী লীগ নেতা এবং একজন ব্যবসায়ী। তারা হচ্ছেন- সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলোয়ার, অধ্যাপক জাকির হোসেন এবং শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম।

৬ জন মনোনয়ন চাইলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নের দৌড়ে তুমুল আলোচনায় আছেন মুলত দু’জন। তারা হলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়া শেষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা যায়।

ঢাকায় আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন- কামরান বা আসাদের মধ্য থেকেই কেউ একজন পাবেন নৌকার লাইসেন্স। এখনো দল কোন সিদ্ধান্ত না নিলেও আজই তা জানিয়ে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। কামরান-আসাদের মাঝে যিনি অর্থমন্ত্রীর গুডবুকে থাকবেন হয়ত তার ভাগ্যেই জুটবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন।

এদিকে, বিষয়টি মাথায় রেখে ঢাকায় এসেই অর্থমন্ত্রীর সুদৃষ্টি লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এবং আসাদ উদ্দিন আহমদ। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার আগেই সকালে অর্থমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন কামরান। আর রাতে মন্ত্রীর বাসায় গিয়ে সাক্ষাৎ করেন আসাদ।

অর্থমন্ত্রীর ইঙ্গিতের উপর সিলেটের প্রার্থীর ভ্যাগ্য নির্ধারণ হলে আলোচনায় আসবে মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিমের নামও। রাজনীতিতে সক্রিয় না হলেও অর্থমন্ত্রীর ঘনিষ্টজন হিসেবেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীতা চেয়েছেন এই ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া সংগঠক। ঈদে সিলেট গেলে সেখানে অর্থমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেই তিনি দলীয় মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আর শুক্রবার সকালে তিনিও অর্থমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে।

সবমিলিয়ে, মনোনয়ন বোর্ডের সভা থেকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রার্থী মনোনয়নের সময় অর্থমন্ত্রী কারো পক্ষে ইঙ্গিত দিলে হয়ত তার ভাগ্যেই জুটবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। এখন অপেক্ষা শেষ পর্যন্ত সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কাকে চাইছেন অর্থমন্ত্রী।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ জুন ২০১৮/ডিজেএস

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.