আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং

কমলগঞ্জের বন্যায় পোল্ট্রি খামারীদের মাথায় হাত

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৬-২৩ ২০:৩৪:২৪

জয়নাল আবেদীন, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার এলাকায় সৃষ্ট বন্যায় মাথায় হাত পড়েছে পোল্টি খামারিদের। বন্যায় একেকটি খামারে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে মোহাম্মদীয়া এগ্রো ফার্মের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারের স্বত্বাধিকারী।

মোহাম্মদীয়া এগ্রো র্ফাম সূত্রে জানা যায়, ৪০ সপ্তাহ ডিম প্রোডাকশনের এক হাজার লেয়ার, ২৪ সপ্তাহ ডিম প্রোডাকশনের দুই হাজার একশত লেয়ার, ২৩ সপ্তাহ ডিম প্রোডাকশনে এক হাজার সোনালী মোরগসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ৭ হাজার ব্রয়লার মোরগ ছিল। বন্যার পানিতে প্রায় ২ হাজার মোরগ মারা গেছে। এছাড়া পুকুরে ৬০ হাজার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে ১৫-১৬ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খামারির মালিক জানান।

তিনি আরও বলেন, বন্যার আগে দৈনিক ২ হাজার ডিম বাজারজাত হতো যার মূল্যে ১১ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার অনুযায়ী মুরগির খামারে ডিম উৎপাদন কম হওয়াতে বাজারজাত হচ্ছে ৩-৪ হাজার টাকা। এতে বাজারের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা লাভ করলেও উৎপাদন খরচের তুলনায় খামারিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের শ্রীনাথপুর গ্রামের খামারির মালিক আমিনুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি বন্যায় মোরগসহ পুকুরের মাছ ভাসিয়ে নেওয়ায় এখানকার মুরগির খামারগুলো বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে। প্রতিদিনই খামারে ডিম বিক্রিতে লোকসান দিতে হচ্ছে। তবুও খামার টিকিয়ে রাখার জন্য বাধ্য হয়ে লোকসানে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান।

কমলগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই জানান, এ উপজেলায় মুরগির খামারের সংখ্যা অনেক। তবে নিবন্ধিত মুরগির খামার রয়েছে ৫৯টি। তিনি আরও জানান, মোহাম্মদীয় এগ্রো ফার্মের ক্ষয়ক্ষতি সরেজমিন দেখবেন। ক্ষতিগ্রস্থ মালিকরা আমাদেরকে অবগত করলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৩ জুন ২০১৮/জেএ/পিডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন