আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

সিলেট সিটিতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে শিবির

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৭-২৩ ০০:১৬:৪১

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :: সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের পরিবেশ এখনও শান্ত। কিন্তু এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের সশস্ত্র মহড়া আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নগরীতে।

যুদ্ধপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। সিসিক নির্বাচনে তাই স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন মহানগর জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তার পক্ষে মাঠে নেমে অস্ত্রের মহড়া দিতে শুরু করেছে শিবির।

কয়েকদিন আগে নগরীর দর্শনদেউড়িতে যুবলীগ নেতাকর্মীদের সাথে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয় শিবির নেতাকর্মীদের। সেদিন তারা ওই এলাকায় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছিল।

এর রেশ শেষ না হতেই গত শুক্রবার নগরীর ৭নং ওয়ার্ডের সুবিদবাজারে একটি রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়েছে শিবির নেতাকর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সুবিদবাজার মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের পরে জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরীর বোনের স্বামী আবদুল গনিসহ কয়েকজন বাধা দেন। তখন শিবির কর্মীরা মসজিদ থেকে চলে যায়। আবদুল গনি আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নানের মালিকানাধীন মৌরশী রেস্টুরেন্টে আছেন ধারণা করে সেখানে অস্ত্রশস্ত্র হামলা চালায় শিবির ক্যাডাররা।

মৌরশী রেস্টুরেন্টের সিসিটিভির ৫৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে ১০-১২ জন শিবির ক্যাডার হামলায় অংশ নেয়। তাদের প্রত্যেকের হাতেই রামদা ও লোহার পাইপ ছিল। দুজন রেস্টুরেন্টের ভিতরে গিয়ে আবদুল গনিকে খোঁজতে থাকেন। তাকে সেখানে না পেয়ে রেস্টুরেন্টের ক্যাশ কাউন্টার ও খাবার স্ট্যান্ড ভাঙচুরের চেষ্টা চালানো হয়। এরপর মুহূর্তের মধ্যেই মোটরসাইকেলে করে নগরীর নূরানী এলাকার দিকে চলে যান শিবির ক্যাডাররা। ওই হামলার নেতৃত্বে ৭নং ওয়ার্ড শিবিরের সভাপতি দীপু ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে মৌরশী রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী ও সিলেট মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ হান্নান বলেন, ‘আমি লিখিত কোনো অভিযোগ দায়ের করিনি। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে গেছে। এখন পুলিশই ব্যবস্থা নেবে বলে মনে করি।’

নগরীর বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গৌসুল হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

শিবিরের এই সশস্ত্র মহড়া নগরীতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষ বলছেন, এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠতে পারে।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সিলেট জেলা শাখার সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াবে। অভিযোগ পাইনি বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হাতগুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত অপরাধীকে গ্রেফতার করতে হবে।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৩ জুলাই ২০১৮/আরআই-কে

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন