উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাকের বিরুদ্ধে আ.লীগ নেতাদের স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন সদর উপজেলা খেলার মাঠে (শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম) কোন ধরণের মেলা ও পশুর হাট না বসানোর দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক নূমেরী জামানের নিকট স্মারকলিপি দেন সিলেটের বিশিষ্টজনেরা।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সিলেট মহানগরীর শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন খেলার মাঠ যা বর্তমানে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নামকরণ করা হয়েছে, এই মাঠে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল সারাবছর একের পর এক মেলা ও ঈদ উল আযহার সময় কোরবানীর পশুর হাট বসিয়ে ফায়দা হাসিল করে। এতে দীর্ঘসময় ছাত্র ও যুবসমাজকে খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়। মেলা আয়োজন ও পশুর হাট বসানোর ফলে খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে এই মাঠ।

এছাড়া মাঠের চারপাশে প্রতিষ্ঠিত বেশ কয়েকটি হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আবাসিক এলাকা রয়েছে। মেলা ও পশুর হাট বসানোর ফলে এসব হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুস্থ পরিবেশ বিনষ্ট হয়। টিলাগড়-আম্বরখানার মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দেখা দেয় তীব্র যানজট।

যুবসমাজ খেলাধুলার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হন সেবাপ্রত্যাশী রোগী, স্কুল-কলেজের শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী ও সাধারণ লোকজন।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, আসন্ন ঈদ উল আযহা উপলক্ষে স্বার্থান্বেষী মহলটি আবারও এই খেলার মাঠে পশুর হাট বসানোর পাঁয়তারা শুরু করেছে।

নেতৃবৃন্দ জোর দাবি জানান, এই খেলার মাঠে আগামীতে কোনধরণের মেলা ও পশুর হাট যেনো বসানোর সুযোগ দেওয়া না হয়।

এছাড়াও বিগত ১০ বছর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খেলার মাঠে মেলা ও হাট বসিয়ে যে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন তা সরকারি কোষাগারে জমা না রেখে কোথায় ব্যায় করেছেন সে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানানো হয়।

সিলেট মহানগরী ও সদর উপজেলাবাসীর পক্ষে স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ শাহনূর, জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক সাইফুল আলম রুহেল, সিলেট জেলা জজ আদালতের এপিপি নূরে আলম সিরাজী, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হিরণ মিয়া, যুবনেতা কুতুব উদ্দিন প্রমুখ।

এ বিষয়ে সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ সিলেটভিউকে বলেন, এলাকাবাসীর প্রচন্ড চাপ আছে এখানে কোরবানীর পশুর হাট বসানোর জন্য। কিন্তু এখনও আমরা কোন সিদ্ধান্ত নেইনি।

স্মারকলিপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্মারকলিপিতো যে কেউই দিতে পারেন। তবে গত ১০ বছরে এখানে কয়টি মেলা হয়েছে কতটাকা এসেছে, তারাই তা ভালো বলতে পারবেন। এখানে মেলা বা পশুর হাট বসিয়ে উপজেলা প্রশাসন কোন টাকা পয়সা পায়নি। আর যারা স্মারকলিপি দিয়েছেন তাদের কারও কিন্তু এ মাঠের ব্যাপারে কোন অবদান নেই। মাঠটিতে এখনও কাজ হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর অবদানেই এই মাঠ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১০ আগস্ট ২০১৮/শাদিআচৌ/এক

@

আপনার মতামত দিন