Sylhet View 24 PRINT

বিশ্বনাথে প্রবাসে থাকা ব্যক্তির নামে অবৈধ লোন উত্তোলনের অভিযোগ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৮-১৪ ১৯:৪৩:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিশ্বনাথ :: ইসলামী ব্যাংক বিশ্বনাথ শাখায় ওমানে থাকা মো. চুনু মিয়া (চলতি হিসাব নম্বর ২৯৩) নামের এক প্রবাসীর নামে জালিয়াতীর মাধ্যমে অবৈধভাবে ১ লাখ টাকার লোন (বিনিয়োগ সুবিধা) উত্তোলন (নবায়ন) করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকের অজান্তে এভাবে আরোও অনেক গ্রাহকের নামে অবৈধভাবে লোন উত্তোলন করার অভিযোগ গত কিছু দিন ধরে লোকমুখে শুনা যাচ্ছে। ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে এসব অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকদের। একারণে ব্যাংক শত শত গ্রাহককে প্রতিনিয়ত হতে হচ্ছে হয়রাণীর শিকার।

এদিকে নিজের নামে জাতিয়াতী করে অবৈধ পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে লোন (বিনিয়োগ সুবিধা) উত্তোলনকারীদের (নবায়ন) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে ও তাকে বিষয়টি নিয়ে হয়রাণী না করার জন্য চলতি বছরের ১২ আগস্ট ইসলামী ব্যাংক বিশ্বনাথ শাখার ম্যানেজার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওমান প্রবাসী মো. চুনু মিয়া।

লিখিত অভিযোগে প্রবাসী চুনু মিয়া (চলতি হিসাব নম্বর ২৯৩) উল্লেখ করেছেন, ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল ওমান যাওয়ার পূর্বে (দেশে থাকা অবস্থায়) ইসলামী ব্যাংকের বিশ্বনাথ শাখা হইতে একটি লোন (বিনিয়োগ সুবিধা) উত্তোলন করেন। এরপর বিদেশে থাকা অবস্থায় নিজের আতœীয়দের মাধ্যমে ‘১৯.১২.১৬ইং ও ১১.০১.১৭ইং’ তারিখে দুটি পৃথক জমা রশিদের মাধ্যমে সেই লোনের টাকাগুলোও পরিশোধ করেছেন। টাকা জমা দেওয়ার সেই রশিদগুলোর কপিও প্রবাসীর কাছে রয়েছে। তিনি (চুনু) প্রবাসে থাকায় ও লোনের টাকা পরিশোধ করার পর নিজের (চুনু) আতœীয়ের মাধ্যমে ব্যাংকে জমাকৃত প্রবাসীর  দলিলপত্র উত্তোলন করতে চাইলে তখন ব্যাংকের কর্মকর্তারা তাদেরকে (প্রবাসীর আতœীয়) জানান তাকে (চুনু মিয়া)’কে ছাড়া কারও হাতে দলিলপত্র দেওয়া যাবে না। তাই চলতি বছরের ১ আগস্ট প্রবাসী চুনু মিয়া দেশে আসার পর ব্যাংকে গিয়ে তার (চুনু) দলিলপত্র উত্তোলন করতে চাইলে জানতে ব্যাংকের এক কর্মকর্তা তাকে (চুনু) জানান যে প্রবাসীর নামে ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী ১ লাখ টাকার আরেকটি লোন (বিনিয়োগ সুবিধা) নবায়ন করা হয়েছে। অথচ তখন চুনু মিয়া বিদেশে (ওমান) নিজের কর্মস্থলে অবস্থান করছিলাম। আর এসংক্রান্ত ডকুমেন্টও তার (চুনু) কাছে রয়েছে। যা প্রবাসী চুনু মিয়া নিজের লিখিত অভিযোগপত্রের সাথে সংযুক্ত করে দিয়েছেন। এতাবস্থায় তিনি (চুনু) তার নামে অবৈধভাবে লোন (বিনিয়োগ সুবিধা) উত্তোলন/নবায়রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে (চুনু)’সহ ব্যাংকের গ্রাহকদেরকে রক্ষা করার জন্য ব্যাংকের ম্যানেজার’সহ ব্যাংকের উবর্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন অভিযোগপত্রে।

স্থানীয় সাংবাদিকরা অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, বছরখানেক পূর্বে ইসলামী ব্যাংকের বিশ্বনাথ শাখায় কর্মরত ৪ জন কর্মকর্তা হঠাৎ করে উধাও হয়ে গিয়ে ছিলেন। আর এরপর থেকে ব্যাংকের গ্রাহকদের অজান্তে তাদের (গ্রাহক) নামে লোন (বিনিয়োগ সুবিধা) উত্তোলনের (নবায়ন) বিষয়টি সামনে চলে আসতে থাকে। শাখার তৎকালীন ম্যানেজার বিষয়টি গোপন করে রাখলেও সময়ের সাথে সাথে তা প্রকাশ্যে চলে আসে। ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাদের এভাবে অবৈধ পদ্ধতিতে লোন উত্তোলনের কারণে শত শত গ্রাহকদেরকে হতে হচ্ছে হয়রাণীর শিকার। এমনকি অনেক গ্রাহকের বিরুদ্ধে লোনের টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগে দেওয়া হয়েছে মামলা, সেই মামলার কারণে অনেক গ্রাহককে আবার জেল কাটতেও হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে ওমান প্রবাসী চুনু মিয়ার নামে প্রবাসীর অজান্তে লোন (বিনিয়োগ সুবিধা) উত্তোলন করার তারিখেই বদলী হন শাখার সাবেক ম্যানেজার আবুল খয়ের।

প্রবাসীর অভিযোগপত্র পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে ইসলামী ব্যাংক বিশ্বনাথ শাখায় জসিম উদ্দিন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এব্যাপারে পরবর্তি সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ আগস্ট ২০১৮/পিবিএ/ডিজেএস

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.