আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে অর্ধশতাধিক অবৈধ পশুর হাট বসানোর তোড়জোড়!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৮-১৭ ০০:০৭:০০

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :: প্রতি বছর কোরবানির ঈদ এলেই সিলেটজুড়ে অবৈধ পশুর হাট বসে। এবারও আসন্ন ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে সিলেটজুড়ে অর্ধশতাধিক অবৈধ পশুর হাট বসানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি স্থানে খুঁটি গেড়ে জায়গা দখল প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রভাবশালীরা। তবে পুলিশ এক ডজন বৈধ পশুর হাটের তথ্য দিয়ে বলছে, কেউ অবৈধ হাট বসালো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কোরবানির ঈদের কিছুদিন আগে সিলেটে অবৈধ হাট না বসাতে নির্দেশনা দেয় প্রশাসন। কিন্তু বাস্তবে তাদের এই নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে অবৈধ পশুর হাট বসায় প্রভাবশালীরা। সিটি করপোরেশন এবং পুলিশ প্রশাসনের নির্লিপ্ততার সুযোগে যততত্র বসে অবৈধ হাট। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের একই কাতারে দেখা যায়। এবারও প্রভাবশালীরা অবৈধ হাট বসানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন। নগরীর উপশহর, তেররতন, রিকাবিবাজার, মিরাবাজার, বাগবাড়ি, মালনীছড়া, টিলাগড়, আম্বরখানা, ঘাসিটুলা, মেন্দিবাগ, শাহী ঈদগাহ, আখালিয়া, দক্ষিণ সুরমাসহ বেশ কিছু জায়গায় অবৈধ পশুর হাট বসাতে তৎপরতা চলছে। প্রতি বছর এসব অবৈধ হাটের হোতারা তাদের লাঠিয়াল বাহিনী মাঠে নামায়। তারা জোরপূর্বক পশুবাহী গাড়ি নিয়ে যায় অবৈধ হাটে। এর ফলে বৈধ হাটের ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হন। একইসাথে বেড়ে যায় পশুর দামও।

সিলেট নগরীর একমাত্র বৈধ স্থায়ী পশুর হাট কাজীরবাজারের ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন লোলন বলেন, ‘প্রতি বছরই অবৈধ হাট বসে। এসব হাটের লাঠিয়াল বাহিনী পশুবাহী গাড়ি জোরপূর্বক নিজেদের হাটে নিয়ে যায়। এতে আমরা বৈধ হাটের ইজারাদাররা ক্ষতিগ্রস্থ হই। এছাড়া লাঠিয়াল বাহিনীর ভয়ে বাইরের পশু ব্যবসায়ীরা সিলেটে গরু আনতে চান না। ফলে গরু সংকটে দাম বেড়ে যায়।’

অবশ্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এবার সিলেট মহানগরী এলাকায় ১২টি বৈধ পশুর হাট রয়েছে। এর বাইরে কোন হাট বসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৈধ হাটগুলো হচ্ছে নগরীর কোতয়ালী থানার কাজীরবাজার পশুর হাট, জালালাবাদ থানার শিবের বাজার পশুর হাট, কুড়িরগাঁও (ইসলামগঞ্জ বাজার) পশুর হাট, বিমানবন্দর থানার সাহেব বাজার সুন্নিয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার মাটে পশুর হাট, দক্ষিণ সুরমা থানার লালাবাজার পশুর হাট, কামালবাজার পশুর হাট, মোগলাবাজার থানার জালালপুর পশুর হাট, হাজীগঞ্জ বাজার ও রাখালগঞ্জ বাজার পশুর হাট এবং শাহপরান থানা এলাকায় আরও তিনটি পশুর হাট।

এ বিসয়ে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ‘এই ১২টি হাট প্রশাসন ইজারা দিয়েছে। তাই এগুলো বৈধ হাট। এর বাইরে কোনো হাট বসলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামানও অবৈধ হাট বসলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৭ আগস্ট ২০১৮/আরআই-কে

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন