আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে দেশী গরুর দাপট!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৮-২০ ০০:০৩:২৩

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :: ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে জমে ওঠতে শুরু করেছে সিলেটের পশুর হাট। হাটে ক্রেতাদের আনাগোনা যেমন বাড়ছে, তেমনই বেড়েছে বিক্রির সংখ্যা। ফলে হাসি ফুটতে শুরু করেছে পশু ব্যবসায়ীদের মুখে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার পশুর হাটে অন্যান্য কোরবানির ঈদের চেয়ে ভারতীয় গরুর সংখ্যা কম রয়েছে। হাটে দেশী গরুর সংখ্যাই বেশি। এসব গরুই বেশি কিনছেন ক্রেতারা। ফলে স্থানীয় পশু পালনকারীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছর কোরবানির ঈদে সিলেটের হাটগুলোতে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় গরু আনা হয়। সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে এসব গরু আসে। তবে এবার সীমান্তে কিছুটা কড়াকড়ি থাকায় ভারতীয় গরুর সংখ্যা অন্যবারের চেয়ে অনেক কম রয়েছে।

সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটগুলোতে দেশী গরুর সংখ্যাই বেশি। ভারতীয় কিছু গরু থাকলেও তা সংখ্যায় কম। ক্রেতারাও দেশী গরু কেনার প্রতিই বেশি মনোযোগী। বিশেষ করে দেশী মাঝারি আকারের গরুর প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ প্রত্যক্ষ করা গেছে।

বেশ কয়েকজন ক্রেতার সাথে আলাপকালে তারা জানান, নানা ধরনের ওষুধ খাইয়ে গরুকে মোটাতাজা করা হয়। তাই এসব মোটাতাজা গরুর প্রতি তাদের আগ্রহ নেই।

মুনেম মল্লিক মুন্না নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘মোটাতাজা গরুতে মাংস বেশি। কিন্তু এসব গরু ওষুধ খাইয়ে মোটাতাজা করা হয় বলে এগুলোর মাংস ক্ষতিকর। আমাদের দেশী গরুই সবদিক থেকে ভালো। তাই কোরবানির জন্য দেশী গরুই কিনেছি।’

নগরীর টিলাগড় পশুর হাটের ব্যবসায়ী সুহেল আহমদ বলেন, ‘এবার দেশী গরুর চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। ভারতীয় গরুর প্রতি ক্রেতাদের তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। হাটে দেশী গরু পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। আজ সোমবার ও কাল মঙ্গলবার হাটে ক্রেতা সমাগম অনেক বেশি হবে।’

একই ধরনের কথা বলেন নগরীর কাজীরবাজার হাটের ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন লোলন।

সিলেট প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সিলেটের ১৩টি উপজেলায় প্রায় চার শতাধিক খামারে দেশীয় গরু পালন করা হয়। ব্যক্তি পর্যায়েও অনেকেই দেশী গরু লালনপালন করে থাকেন। এবার কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশুর হাটে খামার ও ব্যক্তি পর্যায়ে পালন করা গরু আনা হয়েছে। কুমিল্লা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝিনাইদহ, সিরাজগঞ্জ প্রভৃতি জেলা থেকেও গরু নিয়ে সিলেটে এসেছেন ব্যবসায়ীরা।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতর, সিলেটের সহকারি পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর সিলেটের ৪০০ খামারে প্রয়োজনীয় পশু রয়েছে। ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকেই পশু পালন করেছেন। সবমিলিয়ে কোরবানির জন্য বাইরে থেকে পশু আমদানির প্রয়োজন নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের খামারিরা পশুপালন করে যদি লাভবান হন, তবে তারা আরও বেশি পশুপালনে উৎসাহিত হবেন।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২০ আগস্ট ২০১৮/শাদিআচৌ/আরআই-কে

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন