সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৯-১৩ ০০:২২:৪১
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :: সিলেটে চিকিৎসাসেবায় কোটি মানুষের ভরসাস্থল এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। প্রতিদিন হাজারো মানুষ সিলেট বিভাগের বৃহত্তর এই হাসপাতালটিতে চিকিৎসাসেবা নেন। অতীতে বিভিন্ন সময় এই হাসপাতালটি নানা সাফল্য অর্জন করেছে।
এবার আরেকটি সাফল্যে নিজেদের নাম জড়ালো ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। প্রথমবারের মতো এই হাসপাতালে কর্তিত অঙ্গসংযোজন করা হয়েছে। সহজ ভাষায়, শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অঙ্গ পুনরায় শরীরে জোড়া দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ওসমানী হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে একটি টিম অঙ্গসংযোজনের কাজ করেছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর সফলভাবে এক যুবকের কর্তিত বৃদ্ধাঙ্গুলি পুনঃসংযোজন করেন তারা।
এই টিমে আরো ছিলেন- ডা. নাহিদ, ডা. জহিরুল ইসলাম, ডা. সাজিদ, ডা. সজীব, ডা. সাদিয়া, ডা. আবিদ। এ্যানেস্থেসিস্ট ছিলেন ডা. রিয়াদ ও ডা. নিজাম।
জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের সময় অস্ত্রের আঘাতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ইয়াছিন আলীর (২১) বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার কর্তিত বৃদ্ধাঙ্গুলটি রাখা হয় ফ্রিজে। হাসপাতালে ভর্তির পর হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে শুরু হয় অস্ত্রোপচার। ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টানা প্রায় আট ঘন্টা চলে অস্ত্রোপচার। চিকিৎসকরা ইয়াছিনের বৃদ্ধাঙ্গুলটি পুনরায় তার হাতে সংযোজন করতে সক্ষম হন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর ইয়াছিন আলী তার ওই বৃদ্ধাঙ্গুলের কর্মক্ষমতা ফিরে পাচ্ছেন।
ওসমানী হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, কর্তিত অঙ্গ নিয়ে সংশ্লিষ্ট রোগী যদি ৬ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন, তবে তা পুনঃসংযোজন করা সম্ভব। এজন্য এখন আর ঢাকা বা বিদেশ যেতে হবে না, ওসমানী হাসপাতালেই এই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, ঢাকার বাইরে দেশে এই প্রথম এ ধরনের অঙ্গ পুনঃসংযোজন করা হয়েছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮/আরআই-কে