আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান জাকির

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৯-১৪ ০২:২৫:১৪

সিলেট :: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগ থেকে প্রার্থী হতে মনোনয়ন চাইবেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা শহীদ পরিবারের সন্তান মোহাম্মদ জাকির হোসেন। গত কিছুদিন থেকে দু'টি উপজেলায় তার কর্মী সমর্থকরা লিফলেট বিতরণ ও প্রচার প্রচারণা করে আসছেন। সেই লিফলেটে তার ছাত্রজীবনে রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য ইতিহাস, দেশের জন্য তার পরিবারের আত্ব-ত্যাগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে তাকে সংসদে দেখতে যান হিসেবে উল্লেখ্য করা হয়েছে।

তার কর্মী-সমর্থকদের দাবী- দলীয় কোন্দলনের ফলে বার বার দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন জাকিন হোসেন। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা খুজে পাচ্ছেন না নিবেদিত একজন কর্মীকে। অথচ ক্লিন ইমেজ এই নেতার সিলেট বিভাগ জুড়ে রয়েছে অসংখ্যা অনুসারী ও সহযোদ্ধারা। যারা আজ নিজ নিজ অবস্থান থেকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত। তাই তাকে মূল্যয়ন করতে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী পরিবারের নেতা কর্মীরা। বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের জাকিরের রয়েছে শক্ত অবস্থান। রয়েছে বিশাল ভোট ব্যাংক। কেন্দ্র রাজনীতি করে আসায় গোলাপগঞ্জ উপজেলায়ও রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি।

লিফলেট থেকে জানা যায়- আওয়ামীলীগ নেতা জাকির হোসেনের চোখের সামনে (তৎকালিন সময় তিনি শিশু ছিলেন) মহান মুক্তিযোদ্ধের সময় পাকিস্থান বাহিনীরা বিয়ানীবাজারে সদরে প্রথমেই তার বাড়িতে আক্রমন করে। এ সময় তারা তার বড় ভাই মুজিব বাহিনীর সদস্য আলতাফ হোসেন'কে খুঁজতে থাকেন। তারা তাকে না পেয়ে এ তার পিতা শহীদ তাহির আলী ও ভাই শহীদ আবুল হোসেন নিজামকে ধরে বর্তমান শহীদ টিলায় গুলি করে হত্যা করে। বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। নিজ সামনেই নিজেদের নির্মম ট্রাজেডি দেখেন জাকির। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে বেড়ে উঠেন তিনি। স্কুল জীবন থেকে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। পর্যায়ক্রমে তিনি বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন এবং জনপ্রিয় এই ছাত্রনেতা পরে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের এজি এস ও দু'বারের ভিপি নির্বাচিত হন।

পরবর্তীতে লেখাপড়ার সুবাধে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে ভর্তি হন। সে সময় তিনি ছাত্রলীগের জগন্নাথ হলের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের (শামিম- পান্না কমিটির) সদস্য নির্বাচিত হন। দৎকালিন সময় তিনি স্বৈরাচার বিরোধী ও আওয়ামীলীগের ডাকা বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন ও আহত হন। ২০০৩ সালে তিনি বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে প্রজন্ম ৭১' কেন্দ্র কমিটির সদস্য হন। চারদলীয় জোট সরকার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় বিয়ানীবাজারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালে আওয়ামীলীগের সর্ব শেষ হরতালে পিকেটিং এসময় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রতিরোধের সময় তাকে ছাড়তে বাধ্য হয় পুলিশ।

এদিকে তার বড় ভাই মো. তফজ্জুল হোসেন দীর্ঘ ২০ বছর বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সুবাধে পারিবারিকভাবে বিয়ানীবাজার উপজেলায় রয়েছে তাদের বিশাল ভোট ব্যাংক। যা সহজেই প্রতিপক্ষ প্রার্থী জন্য মাথা ব্যাথা হতে পারে।

অপরদিকে ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন বোর্ডে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হন। কিন্তু দলীয় কোন্দলনের ফলে তিনি আর আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাননি।

এ ব্যাপারে মো. জাকির হোসেন বলেন- আমি নৌকার জন্য গত নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন বোর্ডে আবেদন করেছি। দলের একজন নিবেদীত কর্মী হিসেবে এবারও মনোনয়ন চাইবো। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করবো এবং ইনশাল্লাহ বিজয়ী হবো। আর যদি বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাকে নৌকা না দেন, তাহলে যিনি নৌকা নিয়ে আসবেন তাঁকে বিজয়ী করতে কাজ করবো।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮/এমএইচএল/ডিজেএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন