সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৯-১৬ ১৮:৫৫:৩২
শাবি প্রতিনিধি :: শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশের জাতীয় গুণগত মান কাঠামো’ শীর্ষক এ কর্মশালার যৌথ আয়োজক হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, কোয়ালিটি অ্যাশিউরেন্স ইউনিট ( কিউএইউ), শাবির ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাশিউরেন্স সেল (আইকিউএসি)। এতে সিলেট-কুমিল্লা অঞ্চলের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, মেডিকেল কলেজগুলোর অধ্যক্ষ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিরা অংশ নেন।
রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন’র (ইউজিসি) কোয়ালিটি অ্যাশিউরেন্স এর প্রধান অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভিসি অধ্যাপক ইমরান কবীর চৌধুরী, লিডিং ইউনিভার্সিটি এর ভিসি অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত ভিসি অধ্যাপক শিবপ্রসাদ সেন, শাবি কোষাধ্যক্ষ কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মেসবাহউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, উচ্চ শিক্ষায় সরকার সাম্প্রতিক সময়ে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সে তুলনায় অগ্রসর হতে পারছে না। শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত ও আন্তজার্তিকভাবে বিশ^বিদ্যালয়কে মর্যাদা পেতে হলে গবেষণায় প্রচুর পরিমাণে সময় দিতে হবে। এজন্য ছাত্রদেরকে মাস্তানি বাদ দিয়ে গবেষণাধর্মী মনোভাব নিয়ে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, আমরা ইদানিং গবেষণায় ভালো করছি। কিন্তু এটা নিয়ে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই। দেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের কারিকুলামে অনেক পার্থক্য আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যাকে তাকে আমরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারি না। এ ধারা থেকে বিশ^বিদ্যালয়গুলো বেরিয়ে না আসতে গুনগত মান অর্জন অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়বে। একটা মানদন্ড ঠিক করতে হবে যাতে করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রধান সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে তা থেকে উত্তরণ হওয়া যায়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ইমরান কবীর চৌধুরী বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে হারে টাকা পাচ্ছে তা ঠিকমতো ব্যবহারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রস্তুত আছে কিনা তা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। এভাবে গবেষণা ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। লিডিং ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস না থাকায় দেশে উচ্চ শিক্ষা অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে বাইরের দেশগুলোর তুলনায়। বিভাগীয় কমিশনার মেসবাহউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা বর্তমানে এমন এক জায়গায় আছি যেখানে থেমে থাকার কোনো সুযোগ নেই। চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিতে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে।
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী তার সেশনে বলেন, ‘প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণের আওতায় থাকলে যোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সব সময় প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করে আসছে। নৈতিকতা, যোগ্যতা ও সততা ঠিক রাখার জন্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। কোন প্রতিষ্ঠানকে ভালো করতে হলে টিম ওর্য়াকের বিকল্প নেই।’
আইকিউএসি এর পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল আওয়াল বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীরাাই বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাণ। আর তাদের গুণগত শিক্ষা প্রদানের জন্য শিক্ষকদেরকে উপযোগী করতে আইকিউএসি কাজ করে যাচ্ছে। আইকিউএসির এ কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইউনিট এর শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮/এমকে/ডিজেএস