আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

‘খাদিমনগরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আত্মাহুতির হমকি’

সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিত পরিবার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৯-১৯ ১৮:৪৮:২৩

সিলেট :: সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের ছালিয়া কলারতল গ্রামের তেরা মিয়ার পরিবারের সদস্যদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন আর মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন স্থানীয় যুবদল সভাপতি ও ইউপি সদস্য দিলু। খাদিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার দিলোয়ার হোসেন দিলুর নির্যতন, অবিচার থেকে মুক্তি চান তেরা মিয়ার পরিবারের সদস্যরা। মেম্বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পরিবারের সবাই একসাথে আত্মাহুতি দিবেন বলে হুমকি দেন। বুধবার তেরা মিয়া মেয়ে রুমানা বেগম সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে নিজেদের শেষ করার কথা তুলে ধরেন।
লিখিত বক্তব্যে রুমানা বেগম বলেন, আমাদের পুরো পরিবার আওয়ামীলীগের সমর্থক এবং আমরা নৌকায় ভোট দেই। দরিদ্র ও অশিক্ষিত পরিবার হওয়ায় আওয়ামী লীগের বড় মাপের কেউ তাদের চিনেন না বা তারা কারো নিকট কখনো যাননি। স্থানীয় যুবদলের সভাপতি ও ইউপি মেম্বার দিলোয়ার হোসেন দিলুর যন্ত্রণায় আমরা আজ অসহায়। তার অত্যাচার-নির্যাতন আর মামলার ভয়ে আমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
বক্তব্যে বলা হয়, তারা সদর উপজেলার ছালিয়া মৌজার ৬৭৯/৬৮২/৬৭৮ নং দাগের ১০৪ শতক ভূমি মৌরসী সূত্রে মালিক দখলকার। উক্ত ভূমির মধ্যে ১৫ শতক ভূমি বিক্রি করা হয়। বাকী ৮৯ শতক ভূমির মালিকানা নিজ দখলে রয়েছে। কিন্তু সেলেটমেন্ট অফিসার কিতিষ রঞ্জন ঘুষের বিনিময়ে রেকর্ডিয় ও  দখলে থাকা ভূমি অন্যদের নামে রেকর্ড করে দেন। এ বিষয়ে রেকর্ড সংশোধনের জন্য মামলা করলে সেটেলমেন্ট অফিসার আলী আক্কাস সরেজমিন তদন্ত করেন। তদন্তে সেটেলমেন্ট অফিসার কিতিষ রঞ্জন এর অনিয়ম ও অবৈধভাবে রেকর্ড দেয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

রুমানা বেগম বলেন, উক্ত ভূমি জবরদখল করতে একটি ভূমিখেকো চক্র মরিয়া হয়ে উঠেছে ছালিয়া বড়বাড়ীর মৃত নেপুর মিয়ার পুত্র জাকির হোসেন, দিলোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন, জামিল হোসেন ও কামিল হোসেন স্পেন প্রবাসী গংরা আমাদের ভূমি দখল ও আত্মসাতের চেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছে। এস.এ রেকর্ডে ভূমির মালিক আমার পরিবার, ভূমি ভোগ-দখলও আমাদের। তবুও চক্রটি জাল দলিল তৈরি করে হয়রানী করার উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলা দেয়। ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতা ও এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ অর্থের বিনিময়ে ভূমি খেকো চক্রটিকে নানাভাবে সহযোগিতা করছেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর তাদের দেওয়া একটি মামলা আদালত খারিজ করেন।

গত ৩০ আগস্ট ভূমিখেকো চক্রটি বাড়ীতে হামলা করে ঘর-দরজা ভাংচুর করে। এতে ৪জন আহত হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এয়ারপোর্ট থানার অভিযোগ দেয়ার পরও পুলিশ আমাদের অভিযোগ আমলেই নেয়নি। উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।

রুমানা বেগম দিন মজুর বাবা-চাচাদের মামলা পরিচালনার মতো অর্থ সামর্থও নেই উল্লেখ করে, সহায় সম্বল ভূমিটুকু রক্ষায় অসহায় পরিবারকে সহযোগিতা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ভূমিমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপি, এসএমপির কমিশনারসহ সরকারে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮/ইআ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন