আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেট-ঢাকা চার লেন, ব্যয় হবে ৩৮৮৫ কোটি টাকা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৯-২০ ০০:১৯:৫৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: চার লেনে উন্নীত হচ্ছে ঢাকা-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক। এর মাধ্যমে এশিয়ান হাইওয়ে, বিমসটেক ও সার্ক করিডরসহ আঞ্চলিক সড়ক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ঘটবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা, যা অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।

এজন্য একটি সাপোর্ট প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থে চলতি মাস থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়িত হবে।

প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সাইফুল ইসলাম জানান, এরই মধ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্পটির প্রক্রিয়াকরণ শেষ হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) পরবর্তী বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

সূত্র জানায়, ‘ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পার্শ্বে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, এটি বাস্তবায়নে বিদ্যমান সড়কের উভয় পাশে ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর সম্পন্ন করা হবে। যাতে অতি দ্রুত উভয় পাশে সার্ভিস লেনসহ মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করা যায়। এক্ষেত্রে মূল প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হবে না। প্রকল্পের আওতায় ২৭০ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার মহাসড়কের উভয় পাশে ভূমি অধিগ্রহণ করার পাশাপাশি ইউটিলিটি স্থানান্তর করা হবে। এই মহাসড়কটি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার উপজেলা, নরসিংদীর সদর, শিবপুর, রায়পুর ও বেলা উপজেলা, কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও সদর উপজেলা, হবিগঞ্জের মাধবপুর, হবিগঞ্জ সদর, চুনারুঘাট, বাহুবল ও নবীগঞ্জ উপজেলা, মৌলভীবাজারের সদর উপজেলা এবং সিলেটের বালাগঞ্জ, সিলেট, গোপালগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটির ওপর ৬ জুন পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বেশকিছু সুপারিশ দেয় কমিশন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ ও ব্যয় প্রাক্কলন ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে জারি করা গেজেটের আলোকে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) অন্তর্ভুক্ত করে সে অনুযায়ী এ খাতে ব্যয় প্রাক্কলন করতে হবে। এছাড়া প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর সহায়ক সেবা বাবদ প্রস্তাবিত ৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা বাদ দিতে হবে। ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রস্তাবিত প্রকল্পে প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিটের (পিআইইউ) সংস্থান রাখতে হবে। সে অনুযায়ী এই ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবলের বিষয়ে অর্থ বিভাগের জনবল সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশ গ্রহণ এবং সে অনুযায়ী জনবল খাতে ব্যয় প্রাক্কলন করতে হবে। যৌথ কমিটি গঠনের মাধ্যমে ইউটিলিটি স্থানান্তর খাতে প্রস্তাবিত অর্থের ব্যয় প্রাক্কলনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের চাহিদাপত্র পুনর্গঠিত ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রাইস ও ফিজিক্যাল কন্টিনজেন্সি খাতে প্রস্তাবিত অর্থ বাদ দিতে হবে। রাজস্ব খাতের প্যানেল এক্সপার্ট, টিইসি, পিইসি এবং বাস্তবায়ন কমিটির সম্মানী ভাতা বা ফি বাবদ প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৩১ হাজার টাকার পরিবর্তে ২ লাখ টাকার সংস্থান রাখতে হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পিইসি সভার এসব সুপারিশ এরই মধ্যে প্রতিপালন করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, এর আগে ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্পটির অভ্যন্তরীণ যাচাই কমিটির সভা। ওই সভায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পর্যাপ্ত সংখ্যক এক্সেল লোড স্টেশন, বাস-বে, ওভারপাস নির্মাণ, আন্ডারপাস নির্মাণ, বাঁক সরলীকরণ ও বিশ্রাম কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভূমি অধিগ্রহণ এবং ব্যয়ের সংস্থান রাখার প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া মাধবপুরে নিকটবর্তী সুবিধাজনক স্থানে একটি এক্সেল লোড স্টেশন নির্মাণের জন্য ভূমির সংস্থান রাখতে হবে। সেই সঙ্গে এক্সেল লোড স্টেশনের সঙ্গে পার্কিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রাখতে বলা হয়। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এসব পরামর্শ বাস্তবায়ন করেই ডিপিপি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮/ডেস্ক/আরআই-কে

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন