আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে ‘কোয়ালিটি এ্যাসিউরেন্স এন্ড এ্যাক্রিডিটেশন’ বিষয়ক কর্মশালা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১০-১৫ ১৯:১৬:২৭

সিলেট :: লিডিং ইউনিভার্সিটিতে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যাসিউরেন্স সেল (আই কিউ এ সি) এর উদ্যোগে ‘কোয়ালিটি এ্যাসিউরেন্স এন্ড এ্যাক্রিডিটেশন’ বিষয়ক কর্মশালা সোমবার বিকালে দক্ষিণ সুরমার রাগীবনগরস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ এ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের (বিএসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে রিসোর্স পার্সন হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের হেকেপ প্রজেক্টের কোয়ালিটি এ্যাসিউরেন্স ইউনিট হেড প্রফেসর ড. সনজয় কুমার অধিকারী এবং কোয়ালিটি স্পেশালিস্ট প্রফেসর ড. মাহবুব আহসান খান উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মেজর (অব) মো. শাহ আলম, পিএসসি এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যাসিউরেন্স সেল (আই কিউ এ সি) এর ডিরেক্টর মো: রেজাউল করিম। কর্মশালার সমন্বয় করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যাসিউরেন্স সেল (আই কিউ এ সি) এর এ্যাডিশনাল ডিরেক্টর আর্কিটেক্ট রাজন দাশ।

সমাজ উন্নয়নে সহযোগি হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলতে হবে উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ এ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষকদের দায়িত্ব হলো পড়াশুনা শেষে শিক্ষার্থীরা যাাতে সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করতে পারে সে হিসেবে গড়ে তোলা। বাংলাদেশ এ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের (বিএসির) স্বীকৃতি পেতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানন্নোয়ন করতে হবে। আর এ মানন্নোয়নের মাপকাঠি হলো গ্র্যাজুয়েটরা সমাজের জন্য, নিজের পরিবার এবং নিজের জন্য কি অবদান রাখছে। কোয়ালিটি অর্জন করা যায়না এটা উপার্জন করতে হয়(কোয়ালিটি মাস্ট বি আয়ার্ন্ড নট এ্যাচিপ্ট)। তিনি আরও বলেন, কোয়ালিটির কোন শেষ নেই, কোয়ালিটি সম্পন্ন পাঠদান করতে হলে জ্ঞান, দক্ষতা এবং মনোভাবকে সমন্নয় করতে হবে।

প্রফেসর ড. সনজয় কুমার অধিকারী বক্তব্যে কোয়ালিটি কিভাবে নিশ্চয়করণ করা যায় তার উপর বিশেষভাবে আলোচনা করেন। প্রফেসর ড. মাহবুব আহসান খান আধুনিক পাঠদান এবং শিক্ষাগ্রহণের বিভিন্ন পদ্ধতির উদাহরণ সম্বলিত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, শিক্ষায় মানন্নোয়নের লক্ষ্যে পরিবর্তনশীল বিশ্বে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির সাথে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায়ও পরিবর্তন আনতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, লিডিং ইউনিভার্সিটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশনা এবং বিশ^বিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যাসিউরেন্স সেল (আই কিউ এ সি)’র মূলনীতি অনুসরণ করে গুনগত মানন্নোয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত লিডিং ইউনিভার্সিটির বহু অর্জন রয়েছে। লিডিং ইউনিভার্সিটির এ কর্মশালার অংশগ্রহণ করার জন্য তিনি প্রধান অতিথি এবং রিসোর্স পারসনদেরকে ধন্যবাদ জানান। এ কর্মশালার আয়োজন করার জন্য তিনি লিডিং ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যাসিউরেন্স সেল (আই কিউ এ সি) কেও ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করেন।

উক্ত কর্মশালায় লিডিং ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালাটি উপস্থাপনা করেন ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুম্পা শারমীন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৫ অক্টোবর ২০১৮/প্রেবি/ডিজেএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন