আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং
ফরিদ উদ্দিন, ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি :: সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ এনজিএফএফ ও পিপিএম স্কুলে ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের জেরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা কাবিলুর রহমান সুহেল তার অনুসারীদের নিয়ে স্কুলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেন। এ নিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। পারিবারিক চাকরিসূত্রে স্কুলগুলোর অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা অস্থায়ী হওয়ায় কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করেন না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাবিলুর রহমান সুহেল বলেন, গত ১১ অক্টোবরের মারামারি রাজনৈতিক গ্রুপিং নিয়ে। তিনি ইভটিজিং এর সাথে জড়িত নয় এ বিষয় জানেন না।
ওইদিনের হামলায় আক্রান্ত ফাহিম দেওয়ান জানান, রাজনৈতিক নয় ইভটিজিং প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনায় বসলে তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে।
অপর দিকে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নিয়ন্ত্রনকারী ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাবেদুর রহমান ডেনেস মারামারির কথা স্বীকার করে জানান, হাবিব গ্রুপের নেতা ফাহিম দেওয়ানের নেতৃত্বে তার গ্রুপের উপর হামলা হলে পরে তারা পাল্টা জবাব দেন। ইভটিজিং কেউ প্রমান দিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের চাকরিজীবিরা জানান, আমরা এই এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা। ইভটিজিং ও রাজনৈতিক হামলা এসব মিলিয়ে আমরা আতংকগ্রস্থ।
এ বিষয়ে স্থানীয় অভিবাবক শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি সালেহ আহমেদ বলেন, ইভটিজিং এর উৎপাত বেড়েছে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে কারখনা কর্তৃপক্ষকে বার বার বলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে গণমাধ্যম ব্যক্তিদের ভূমিকা নিতে আহবান জানান তিনি।
ইভটিজিংয়ের অভিযোগের ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, স্কুল খুললে সেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেটভিউ/১৫ অক্টোবর ২০১৮/এফইউ/পিডি