Sylhet View 24 PRINT

সিলেটে অবৈধভাবে ব্যবহার হচ্ছে ১ কোটি লিটার পানি!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১০-২৩ ০০:০৬:০২

ইমরান আহমদ :: সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নগরীতে দির্ঘ দিন থেকে খাবার পানির চাহিদা মেটাতে পারছে না। সিসিক কর্তৃপক্ষ নগরবাসীর পানির সমস্য সমাধানের বিষয়ে অনেকটা জানা থাকলেও অদৃশ্য কারনে এর সমাধান করছেন না। নগরীতে সিসিক’র বৈধ গ্রাহকদের খাবার পানির চাহিদা ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি লিটার। পক্ষান্তরে সিসিক নগরীতে ৪ থেকে সাড়ে ৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করে। এরপরও খাবার পানির চাহিদা পূরণ করতে পারছে না সিসিক। প্রতিদিন সিসিক’র পানি অবৈধভাবে ১ কোটি লিটার পানি ব্যবহারই এর মুল কারণ। এতে বিভিন্ন সময় পানি নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন বৈধ গ্রাহকরা।

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) সূত্রে জানা যায়, নগরীতে পানির বৈধ গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। এ গ্রাহকদের দৈনিক পানির চাহিদা ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি লিটার। সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতিদিনের খাবার পানির চাহিদা প্রায় ৮ কোটি লিটার। এ চাহিদার বিপরীতে সিসিক’র একটি শোধনাগার ও ৪০টি উৎপাদক নলকূপের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন প্রায় ৪ কোটি লিটার পানির ঘাটতি থাকে।

নগরবাসীর পানির ভোগান্তি লাগব করতে সিসিক বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বললেও বাস্তবে কোনো কাজ হয়নি। পানির অপচয়রোধে উদ্যোগ গ্রহন করেছিল নগর কর্তৃপক্ষ। আবাসিক বা বানিজ্যিক গ্রাহকদের পানির লাইনে মিটার স্থাপন করা হয় হাতে গুনা কয়েকটি। পানির মূল্য নির্ধারণ ও সকল গ্রাহককে মিটারের আওতায় নিয়ে আসা হয়নি। অপরিকল্পিত মিটার স্থাপনের কারণে ভোগান্তিতে গ্রাহকরা। মিটারগুলো কাজে লাগার আগেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে মোটা অংকের ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন গ্রাহকরা। পরবর্তীতে যারা পানির সংযোগ নেন বা দেওয়া হচ্ছে তাদের কাছ থেকে মিটার বাবদ ফি আদায় করা হয়। ফি আদায় করলেও মিটার স্থাপন করেন না সিসিক। সিসিক’র পানি অবৈধভাবে যারা ব্যবহার করছে তারা নির্বিঘ্নে ব্যবহার করে যাচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ না নেওয়ায় দিন দিন অবৈধভাবে পানি ব্যবহারকারীরা বাড়তেই থাকবে। এতে একদিকে যেমন সিসিক রাজস্ব হারাচ্ছে। অপরদিকে বৈধ গ্রাহকরা প্রতিনিয়ত পানির ভোগান্তিতে রয়েছেন।

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর বলেন, নগরীর পানির চাহিদা মেটাতে সিটি কর্তৃপক্ষ সবসময় আন্তরিক। পানির অপচয়রোধে অনেক গ্রহকদের লাইনে মিটার স্থাপন করা হয়েছিল। এ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। পানির মূল্য নির্ধারণ করে ব্যবহার অনুযায়ী বিল আদায় করা হবে। আস্তে আস্তে সকল গ্রাহককে মিটারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এছাড়া যে সময়ই যে এলাকায় সিসিক’র পানির অবৈধ লাইনের খবর পাওয়া যায় তা বিচ্ছিন্ন করা হয়।

র কাজ চলছে পর্যায়ক্রমে সকল গ্রাহকের লাইনে মিটার বসানো হবে। পানির মূল্য নির্ধারণ করে ব্যবহার অনুযায়ী বিল আদায় করা হবে। মিটার বসানো হলে পানির অপচয়রোধের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আদায়ও বাড়বে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৩ অক্টোবর ২০১৮/ইআ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.