আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেট-২ আসনে শফিক চৌধুরীকে নৌকার মাঝি চেয়ে কেন্দ্রে আবেদন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১১-১৭ ১৮:৪৪:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিশ্বনাথ :: আসন্ন একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী’কে যাচ্ছে তৃণমূল আওয়ামী লীগ।

এজন্য সম্প্রতি দুই উপজেলার তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথকভাবে সভা করে রেজুলেশনের মাধ্যমে নিজেদের ভিতরে ওই একই দাবীতে ঐক্যবদ্ধ হন দলীয় সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। এরপর সেই সভাগুলোর পৃথক রেজুলেশনের কপি কেন্দ্রে প্রেরণ করে নিজেদের দাবী দলের নীতিনির্ধারকদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। যাতে করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহনের সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও মহাজোটের নেতৃবৃন্দ তৃণমূলের দাবীপূরণ করে সিলেট-২ আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে শফিকুর রহমান চৌধুরীকে মনোনয়ন প্রদান করেন।

এদিকে সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে শফিকুর রহমান চৌধুরী যাতে দলীয় ও মহাজোটের মনোনয়ন পান সেজন্য শুক্রবার দুই উপজেলায় বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং মন্দিরে মন্দিরে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলীয়, নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। 

তৃণমূল আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রে প্রেরণ করা রেজুলেশনের সেই কপিগুলোতে ‘বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর’ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রায় ৯৫% শীর্ষ নেতৃবৃন্দের এবং বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রায় সকল কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর রয়েছে। দলীয় আনুগত্য ও রাজনীতির মাঠে সর্বদা সক্রিয় থাকায় ২৪ ঘন্টার রাজনীতিবিদ হিসেবে খ্যাত শফিকুর রহমান চৌধুরী ছাড়াও সিলেট-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় মনোনয়নপত্র দাখিলকারী অপর ৫ প্রার্থীর নিজ নিজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ওই আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে তাকে (শফিক চৌধুরী) যাচ্ছেন বলেই রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেছেন। আর রেজুলেশনে স্বাক্ষরকারীদের তালিকায় রয়েছেন শফিকুর রহমান চৌধুরী শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নিজ ইউনিয়ন ‘বুড়–ঙ্গা’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও।

তৃণমূলের দাবী মতে, বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ও দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সিলেট-২ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়ে ছিলেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। অথচ তিনি (শফিক চৌধুরী) যদি দল ও মহোজেটের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতেন তাহলেও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হতেন এমপি থাকাকালে এলাকার ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়িত করার জন্য। কিšুÍ দলের প্রতি অসীম অনুগত্য থাকার কারণে দলীয় ও মহাজোটের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়াকে নির্বাচিত করেছেন। বিগত ৫টি বছর এমপি না হয়েও এলাকা ছেড়ে কোথাও যাননি। বরং দল ও এলাকার উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখার জন্য নিরবে কাজ করে গেছেন চাওয়া-পাওয়ার হিসেব না করেই। সদ্য সম্পন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এবং উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য মুজিব আদর্শের একজন শতভাগ খাঁটি সৈনিক হিসেবে শফিকুর রহমান চৌধুরী জেলা জুড়ে দিনরাত যে পরিশ্রম করে গেছেন তা নিজেদের চোখেই দেখেছেন সিলেটবাসী। আর এসব কারণেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের জন্য অত্যান্ত পরিশ্রমী নেতা শফিকুর রহমান চৌধুরীকে সিলেট-২ আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে যাচ্ছেন তৃণমূল।

ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু বলেন, সিলেট-২ আসনে সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী দলীয় ও মহোজেটের মনোনয়ন পেলে এ আসনে আওয়ামী লীগের বিজয় সহজ হবে। আর তিনি নির্বাচিত হলে দলীয় অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি এলাকাবাসী নিজেদের কাঙ্খিত সেবাও পাবেন ও চলমান হবে উন্নয়নের চাকা।

বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পংকি খান ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আমির আলী চেয়ারম্যান বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যে পরিবারের রয়েছে বিরাট অবদান, সেই পরিবারের সন্তান হিসেবে সিলেট-২ আসনের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য নৌকার মাঝি হিসেবে শফিকুর রহমান চৌধুরীর কোন বিকল্প যেমন দলে নেই, তেমনি মহাজোটেও নেই। আর সেজন্যই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে এমন পরিবারের কাউকে নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক পরিবারের সন্তান হিসেবে তাকে (শফিক চৌধুরী) সিলেট-২ আসনে নৌকার কান্ডারী হিসেবে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূল। আর সেই দাবীটিও রেজুলেশনের মাধ্যমে কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে। 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৭ নভেম্বর ২০১৮/পিবিএ/ডিজেএস

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন