আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে মনোনয়ন চান জাতীয় নেতাদের উত্তরসূরীরা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১১-২১ ০১:১৬:১৫

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :: তাঁরা একেকজন ছিলেন রাজনীতির আকাশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। সৃষ্টির অমোঘ নিয়মে সেই সব তুখোড় নেতা এখন বেঁচে নেই। তবে তাঁদের উত্তরসূরীরা এখন রাজনীতির মাঠে তুলেছেন আলোচনার ঝড়, জাতীয় নির্বাচনে করতে চাইছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

আব্দুস সামাদ আজাদ, দেওয়ান ফরিদ গাজী, সাইফুর রহমান, শাহ এএমএস কিবরিয়া। এঁরা একেকজন নিজ নামেই সমধিক পরিচিত। বৃহত্তর সিলেটের রাজনীতির গন্ডি পেরিয়ে তাঁরা হয়ে ওঠেছিলেন জাতীয় নেতা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ছিল তাঁদের ব্যাপক প্রভাব। বিভিন্ন সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা এসব জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের ছেলেরা এখন রাজনীতির মাঠে সক্রিয়। আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে এ চার নেতার ছেলেরাই সংসদ সদস্য পদে লড়তে চান। এছাড়া খন্দকার আব্দুল মালিক ও ইলিয়াস আলীর ছেলেরাও আছেন নির্বাচনী মাঠে।

ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের ছেলে আজিজুস সামাদ ডন এবার সুনামগঞ্জ-৩ (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। কয়েক বছর ধরে এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে আসছেন ডন। নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছেন তিনি।

দেওয়ান ফরিদ গাজী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রণাঙ্গনের ৪ ও ৫ নম্বর সেক্টরের বেসামরিক উপদেষ্টা ছিলেন, তাঁর হাত ধরেই বৃহত্তর সিলেট আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা। প্রয়াত এই মন্ত্রীর ছেলে দেওয়ান শাহনেওয়াজ গাজী মিলাদ হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে সংসদ সদস্য পদে লড়তে চান। এজন্য তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন।

অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার বাজেট দেয়ার একক রেকর্ড ছিল সাইফুর রহমানের। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট দিয়ে তাঁকে ছুঁয়েছেন আবুল মাল আব্দুল মুহিত। ভাষা সংগ্রামে অসামান্য অবদান রাখায় একুশে পদকপ্রাপ্ত এবং সেনেগালের সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মাননা ‘অর্ডার ন্যশন্যাল’-এ ভূষিত সাইফুর রহমানের বড় ছেলে নাসের রহমান রয়েছেন নির্বাচনী মাঠে। তিনি নবম জাতীয় নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন। এবারও বিএনপি থেকে সাংসদ পদে লড়তে চান নাসের রহমান।

শাহ এএমএস কিবরিয়া খ্যাতিমান কূটনৈতিক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখেন তিনি। রাজনীতিতে যোগ দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী হন। তাঁর ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া এবার নির্বাচনী মাঠে আলোচনার ঝড় তুলেছেন। বাবা আওয়ামী লীগ নেতা হলেও রেজা কিবরিয়া এবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে চান। ইতোমধ্যেই তিনি ড. কামাল হোসেনের গণফোরামে যোগ দিয়ে মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছেন।

সিলেটে বিএনপির বীজ বপন করেছিলেন খন্দকার আব্দুল মালিক। তিনি দু’দফায় এমপিও হয়েছিলেন। তাঁর ছেলে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির এবার সিলেট-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। কয়েক বছর ধরেই মনোনয়ন পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

এছাড়া বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর বড় ছেলে আবরার ইলিয়াসও এবার রাজনীতির মাঠে পা রেখেছেন। সিলেট-২ আসনের জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন তিনি। অবশ্য সাবেক সাংসদ ‘নিখোঁজ’ ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাও এ আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। কোন কারণে লুনা নির্বাচন করতে না পারলে লড়বেন ছেলে আবরার।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ নভেম্বর ২০১৮/শাদিআচৌ/আরআই-কে

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন