আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন লালমনিরহাটের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মো. আব্দুল খালেক। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আজও স্বীকৃতি পাননি এই মুক্তিযোদ্ধা। পুলিশ বাহিনী থেকে অবসর নিয়ে তিনি এখন শ্বশুরবাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ভাদাইর দেউল গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও তালিকা থেকে জানা যায়, থানায় পর্যায়ে তৈরী জাতীয় তালিকায় ৪০ নম্বরে রয়েছে মো. আব্দুল খালেকর। তিনি ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৬ নং সেক্টরের অধীন রংপুর অঞ্চলের বুড়িমারি, হাতিবান্দা, বুদ্ধিমাড়ির চর, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ এলাকায় যুদ্ধ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সর্বাধিনায়ক প্রয়াত এম এ জি ওসমানী ও ৬নং সেক্টরের আঞ্চলিক অধিনায়ক মো. খাদেমুলের স্বাক্ষরিত একটি সনদ অনুযায়ীও তিনি মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিবার্তায় প্রকামিক তালিকায় নাম ও বাবার সঠিক নাম মো. বুদু মামুদ। কিন্তু ভারতীয় তালিকার ৪২৭৯৯ অনুযায় ভুলক্রমে বাবার নাম ছাপা হয়েছে মো. আনছার আলী। এ ভুলের কারণে তিনি আজও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে পারেননি।
মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মো. আব্দুল খালেক জানান, রাজারহাট সমাজ সেবা অফিসে এক যোগ ধরে আবেদন করেও সাড়া পাইনি। তবে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইন স্বাধীনতা দিবস ২ মে মার্চ ও বিজয় দিবস ১৬ ডিসম্বরে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের সাথে তাকেও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ বছরও ১৬ ডিসেম্বরের পুলিশ লাইনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রাপ্তির বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকেও সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবারে সুপারিশ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১১ ডিসেম্বর ২০১৮/জেএ/এমকে-এম