আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

অর্থমন্ত্রী মুহিতের উন্নয়নে গর্বিত দক্ষিণ সুরমাবাসী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১২-১২ ০০:১৮:০৭

রাশেদুল হোসেন সোয়েব, দক্ষিণ সুরমা :: বাংলাদেশ সরকারের সফল অর্থমন্ত্রী সিলেটের কৃতি সন্তান আবুল মাল আব্দুল মুহিত এমপি দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ, মাদ্রসা, স্কুল ও কলেজে অনুদান এবং উন্নয়ন কর্মকান্ড করায় দক্ষিণ সুরমাবাসী গর্বিত।

দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে সাত তলা বিশিষ্ট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়। প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের উদ্যোগ, আলমপুরে নির্মিত শেখ হাসিনা শিশু পার্ক এর কাজও শেষ পর্যায়ে। কদমতলী পয়েন্ট জামে মসজিদে দেড় কোটি টাকা এবং কদমতলী জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় ৪০ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান। ঝালোপাড়ায় নদীর পাড় সৌন্দর্য্যবর্ধনসহ ঝালোপাড়া রাস্তা উন্নয়নে প্রায় ৯ কোটি টাকা, খোজারখলা মারকাজ জামে মসজিদের উন্নয়নে ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান, দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন রাস্তাঘাট উন্নয়নে ক্বীন ব্রীজের মুখ থেকে হুমায়ুন রশিদ চত্বর চারলেন রাস্তা উন্নয়নে প্রায় ২০ কোটি টাকা, হুমায়ুন রশিদ চত্বর হতে পারাইরচক পর্যন্ত ড্রেইন নির্মাণ ও কালভার্ট উন্নয়ন কাজে প্রায় ১৩ কোটি টাকার কাজ চলমান।

দক্ষিণ সুরমাবাসীর প্রতি অর্থমন্ত্রীর আন্তরিকতা থাকার কারণেই এসব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ক্বীনব্রীজ হতে কদমতলী মুক্তিযোদ্ধা চত্বর পর্যন্ত চারলেন রাস্তা প্রসস্থ করণর কাজও শেষ পর্যায়ে। পাঠানপাড়া জহির তাহির উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। শিববাড়ী পূজা মন্ডপে উন্নয়নের জন্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা অনুদানসহ দক্ষিণ সুরমার অন্যান্য পূজা মন্ডপেও অনুদান প্রদান করেছেন অর্থমন্ত্রী।

সরেজমিনে দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ঘুরে জন সাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই সরকারের আমলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের মাধ্যমে দক্ষিণ সুরমায় যত ধরণের উন্নয়ন হয়েছে তা আগে কখনো হয়নি।

এলাকাবাসী বলেন- অতীতে সবসময়ই দক্ষিণ সুরমা ছিল উন্নয়ন বঞ্চিত। কিন্তু গত দুই মেয়াদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত যে উন্নয়ন করে দিয়েছেন না অবিশ্বাস্য। তিনি আমাদের সিলেটের গৌরব। তিনি আছেন বলেই আমাদের এত উন্নয়ন হয়েছে।

২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ মোহাম্মদ তৌফিক বক্স লিপন বলেন- আমাদের তিনটি ওয়ার্ডে যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত আন্তরিক থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছে। ওয়ার্ডের বাইরে দক্ষিণ সুরমায় অনেক রাস্তাঘাট, মসজিদ মাদ্রাসা, পূজা মন্ডপে উন্নয়নের জন্য অনুদান প্রদান করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত একজন জনদরদী, সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি। এই ধরণের ব্যক্তিকে পেয়ে আমরা সিলেটবাসী গর্বিত। আমরা তাঁর কাছে ঋণী। আগামী সংসদ নির্বাচনে অর্থমন্ত্রীরই ভাই ড. মোমেনকে নৌকা প্রতিকে নির্বাচিত করে আমরা এই ঋণ কিছুটা শোধ করতে চাই।

এ ব্যাপারে কদমতলী আজাদ শপিং কমপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারী ও কদমতলী পয়েন্ট জামে মসজিদের সভাপতি হেলাল বক্স জানান, আমাদের মসজিদসহ দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন ওয়ার্ডে মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দিরে অর্থমন্ত্রীর অনুদান অনস্বীকার্য।

তিনি বলেন- সিটি কর্পোরেশনের ২৫, ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ড তথা পুরো দক্ষিণ সুরমায় তিনি যে উন্নয়নের ভূমিকা রেখেছেন তা এলাকাবাসী আজীবন মনে রাখবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই ড. মোমেনকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা সবাই মিলে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করব ইনশাআল্লাহ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১২ ডিসেম্বর ২০১৮/আরএইচএস/ডিজেএস

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন