আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

জৈন্তাপুর সড়ক দূর্ঘটনায় চাচা-ভাতিজা নিহত, সড়ক অবরোধ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১২-১২ ২২:৫৪:৩৬

মো. হানিফ, জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :: সিলেটের জৈন্তাপুরে অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখা পিলার বোঝাই ট্রাকের সাথে  ধাক্কা খেয়ে মটরসাইকেল আরোহী চাচা-ভাতিজা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের দরবস্ত পলী বিদ্যুৎ গেইট সংলগ্ন এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা খাম্বাবোঝাই ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে এবং সিলেট তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।

এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায়- সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের দরবস্ত সিলেট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সম্মুখে অবৈধভাবে এবং কোন সিগন্যাল বাতি না জ্বালিয়ে রাখা খাম্বা বোঝাই ট্রাক (কুমিলা-ট-১১-২২১৫) পিছনের দিকে সজোরে ধাক্কা লাগে মোটরসাইকেলের। ঘটনাস্থলেই মটরসাইকেল আরোহী চাচা-ভাতিজার মৃত্যু হয়। তারা গর্দনা এলাকা হতে দরবস্ত বাজারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। নিহতরা হলেন জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের দরবস্ত বাজারের আল-মদিনা হোটেলের মালিক গর্দনা গ্রামের মৃত সামসুল হকের ছেলে নুর আহমদ(৪০) এবং তার  চাচা মৃত উসাই মিয়ার ছেলে আব্দুল হান্নান (৫৫)।

ঘাটনার পরই বিক্ষুব্ধ জনতা উত্তেজিত হয়ে খাম্বা বোঝাই ট্রাকটিতে অগ্নিসংযোগ করে। তারা সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং গাফিলতির কারণে তাদের অপসারণ দাবীতে রাস্তা অবরোধ করে ।

উল্লেখ্য চলতি বছরের শুরুতেই একই স্থানে অবৈধভাবে খাম্বা বোঝাই ট্রাক পার্কিং এবং রাস্তার পাশ দখল করে খাম্বা রাখার ঘটনায় যাত্রীবাহি বাস দূর্ঘটনার স্বীকার হয়ে ঘটনাস্থলে ৪ জন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১জন মারা যান।  এ ঘটনার পর পর সিলেট  বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিগন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খাম্বা বোঝাই ট্রাক না রাখা এবং রাস্তার দুই পাশ হতে খাম্বা অপসারনের নিদের্শ দেন। পরবর্তীতে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারনে রাস্তা হতে খাম্বা অপসারন করেনি বরং রাস্তার দুপাশ্বে খাম্বা মজুদ বাড়িয়ে দেয়। প্রতিনিয়ত সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে খাম্বা বোঝাই ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। যার কারনে এসব দূর্ঘটনা ঘটলেও না দেখার ভান করে থাকে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে গাড়ীতে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্সের সৈয়দ ফারুকের নেতৃত্বে ১টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করছে।

রাত সাড়ে দশটায় এ রিপোট লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে রেখেছে।

সিলেটভিউ/১২ ডিসেম্বর ২০১৮/এমএইচ/পিডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন