আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

জকিগঞ্জে প্রার্থীদের বিরামহীন প্রচারণা, নিরব জামায়াত

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১২-১৮ ০০:১৯:১৬

আল হাছিব তাপাদার, জকিগঞ্জ প্রতিনিধি ::  সিলেট-৫ আসনে (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) শান্তিপূর্ণভাবে প্রার্থীদের বিরামহীন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মধ্যে ভোট উৎসবভাব বিরাজ করছে। প্রচারণায় দিনরাত যেন সবই সমান প্রার্থীদের কাছে। পোস্টারে পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে সীমান্তের গ্রামগঞ্জ। গ্রামে-গ্রামে চলছে উঠান বৈঠক। পাওয়া-না পাওয়ার হিসেব মিলিয়ে ভোট দিতে দিবেন ভোটাররা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার কোথাও কোন বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।

ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা এ আসনে ৮ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে রয়েছেন। এরমধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান পেয়েছেন ৩ জন প্রার্থী। তাঁরা হলেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হাফিজ আহমদ মজুমদার, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী সেলিম উদ্দিন এমপি, বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক। এই তিন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে বলে অনেকের ধারণা।

নির্বাচনী এলাকা ঘুরে ভোটারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামীলীগের হাফিজ আহমদ মজুমদার ও জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন এমপি প্রচার প্রচারণায় তাদের সময়কার উন্নয়ন কর্মকান্ডকে সামনে এনে ভোটারের মন জয় করার চেষ্টায় আছেন। আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা মান-অভিমান ভেঙ্গে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এতে সুবিধাজনক অবস্থান তৈরী করে নিয়েছেন আওয়ামীলীগের ড. হাফিজ আহমদ মজুমদার ও জাতীয় পার্টির ক্ব সেলিম উদ্দিন এমপি। আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা নিজ দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে দেখা যাচ্ছে।

অন্যদিকে, বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক অসুস্থ থাকায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় নিয়মিত অংশ না নিলেও তার কর্মী-সমর্থকরা মাঠে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের বিভক্তি এখনো দৃশ্যমান। জোটভূক্ত দল জামায়াত নেতাকর্মীসহ অন্য ইসলামী দলের অনেক সিনিয়র নেতাকে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে দেখা যায়নি। যুবদল-ছাত্রদলসহ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের বেশীর ভাগ নেতা এখনো নিরব রয়েছেন। এতে ঐক্যফ্রন্টের ভোটে প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকের ধারণা।

সিলেট জেলা জামায়াতের শীর্ষ এক নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন, ঐক্যফ্রন্টের এ প্রার্থী অতীতের নির্বাচনীগুলোতে আমাদের প্রার্থীর চরম বিরোধিতা করে খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়ে জামানত হারিয়েছেন। তিনি সব সময় জামায়াতকে নিয়ে কাল্পনিক গল্প রচনা করেন। এ কারণে আমাদের নেতাকর্মীরা তাকে ভোট দিবেনা। তার পক্ষে মাঠে নামারও প্রশ্নে আসেনা।

তাহলে কোন প্রতীকে ভোট দিবেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, শেষ সময়ে উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে অনেকে নৌকা ও লাঙ্গল প্রতীককে ভোট দিতে পারে বলে ধারণা করছি।

সিলেটভিউ/১৮ ডিসেম্বর ২০১৮/আহাতা/পিডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন