আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

উপশহরে ‘নিয়োগ দিতে দুর্নীতি’, সেলিমের অস্বীকার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০১-১১ ০০:১৩:০৩

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :: সিলেট সিটি করপোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। ৩ লাখ টাকার ‘চুক্তির বিনিময়ে’ শাহজালাল উপশহর হাইস্কুলে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে তিনি নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে গেল ৬ জানুয়ারি এমন অভিযোগ দিয়েছেন দক্ষিণ সুরমার খালরমুখ উড়ালমহল গ্রামের মো. রফিকুল আম্বিয়া। তিনি শাহজালাল উপশহর হাইস্কুলে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরি পেতে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

অভিযুক্ত সালেহ আহমদ সেলিম ওই স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি। তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সেলিম।

লিখিত অভিযোগে রফিকুল আম্বিয়া উল্লেখ করেছেন, ‘গত ২৯ অক্টোবর শাহজালাল উপশহর হাইস্কুলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তরের (মাউশি) ডিজির প্রতিনিধি ও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের উপস্থিতিতে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় তিনি (রফিকুল) প্রথম স্থান অধিকার করেন। কিন্তু ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সালেহ আহমদ সেলিম তাকে নিয়োগ না দিয়ে পরীক্ষায় তৃতীয় বা চতুর্থ স্থান অধিকারী আব্দুস সালামকে নিয়োগ দেবেন বলে ৩ লাখ টাকার চুক্তি করেন। তবে ওই মাউশি ডিজির প্রতিনিধি ও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাহসী ও সৎ ভূমিকার জন্য নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হন সেলিম।’

‘আব্দুস সালামকে নিয়োগ দিয়ে অবৈধ টাকা জায়েজ করতে কাউন্সিলর সেলিম দ্বিতীয়বার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। তবে বিজ্ঞপ্তিতে দ্বিতীয়বার উল্লেখ না থাকায় মাউশির ডিজির প্রতিনিধি প্রেরণে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন। এরপর তৃতীয়বার উল্লেখ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, যার পরীক্ষা আগামী ১২ জানুয়ারি হবে।’

লিখিত অভিযোগে রফিকুল আম্বিয়া নতুন নিয়োগ পরীক্ষা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে নেয়ার ব্যবস্থা নিতে জেলা শিক্ষা অফিসারকে আহবান জানিয়েছেন। একইসাথে দুর্নীতির বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধও জানানো হয়েছে।

কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি সিলেটভিউকে নিশ্চিত করেছেন মো. রফিকুল আম্বিয়া।

সালেহ আহমদ সেলিম ৩ লাখ টাকার চুক্তি করেছেন, এটার কোনো প্রমাণ বা সত্যতা আছে কিনা-এমন প্রশ্নে রফিকুল আম্বিয়া বলেন, ‘আমার সাথে আরেকজন নিয়োগ প্রার্থী ছিলেন। তিনি বলেছেন, এ ধরনের নিয়োগে টাকা ছাড়া হবে না। আরো অনেক প্রার্থী আছেন, চাইলে তারা ইয়ে (অভিযোগ) দিতে পারবে।’

তিনি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

অন্যদিকে অভিযুক্ত সালেহ আহমদ সেলিম সিলেটভিউকে বলেন, ‘এখনও তো নিয়োগই হয়নি, হওয়ার আগেই অভিযোগ! কাল্পনিক অভিযোগ করলে তো হবে না।’

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ তিনি উড়িয়ে দেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১১ জানুয়ারি ২০১৯/আরআই-কে

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন