আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ডিম গবেষণায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীর সাফল্য

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০১-২২ ০০:০৭:২৬

সিলেট :: প্রকৃতির অন্যতম রহস্যময় জিনিস হলো ডিম। পক্ষীকুল ও সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণিদের খাদ্য ও পুষ্টি ডিমের ভেতর সংরক্ষিত থাকে, ধীরে ধীরে এর উন্নতি হয় এবং নতুন প্রজাতি পৃথিবীতে ভূমিষ্ট হয়। ডিম শুধুমাত্র খাদ্য হিসেবে নয়, সারাবিশ্বে গবেষণার জন্য বিশেষ করে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, জীববিজ্ঞান, পুষ্টিবিজ্ঞান, ইকোলজি, ভেটেরিনারি ও প্রাণি চিকিৎসাবিজ্ঞান গবেষণায় ডিম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

গবেষণার জন্য মুরগীর ডিমকে আদর্শ ল্যবরেটরি উপাদান হিসেবে গণ্য করা হয়। ডিম মূলত শক্ত বহিরাবরণ বা ডিমের খোসা, অ্যালবুমেন (সাদা অংশ),ডিমের কুসুম এবং কিছু মেমব্রেন দিয়ে তৈরী।
ডিমের খোসার মূল কাজ হলো এর অভ্যন্তরে বাড়তে থাকা ভ্রুণকে এবং ভ্রুণের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকে রক্ষা করা, সূর্যের আলো থেকে নির্গত আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে ভ্রুণকে রক্ষা করা। তবে খোসার কারণে ডিমের অভ্যন্তরের উপাদান নিয়ে কাজ করা সমস্যা হয়।

বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক খালিদুজ্জামান এলিন ডিমের খোসার উপর গবেষণা করে প্রথমবারের মতো বড় সাফল্য পেয়েছেন। তিনি ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক ওয়েব টেকনোলজি ব্যবহার করে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ডিমের খোসার পূরুত্ব নির্ণয় করেছেন। এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পূর্বে ডিম ভেঙে গবেষণা করতে হতো।

খালিদুজ্জামানের গবেষণার পর জীববিজ্ঞান, বাস্তুসংস্থান এমনকি এগ গ্রেডিং এ বড় একটি মাইলফলক উন্মেচিত হবে বলে জানিয়েছে সিকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর। খালিদুজ্জামান এলিন জাপানের কিয়াতো বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইডি গবেষক হিসেবে বর্তমানে অধ্যয়নরত। তিনি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি বিভাগের সহকারী প্রফেসর।

এ প্রসঙ্গে খালিদুজ্জামান বলেন, “ডিম ব্যবসায়ী পরিবহনের সুবিধার্থে পুরু খোসার ডিম নির্বাচন করেন। সুতরাং এ গবেষণা সাধারণ ডিম ব্যবসায়ীদের জন্য দারুণ সুখবর নিয়ে আসছে।”

এছাড়াও পুরু খোসাসমৃদ্ধ ডিম থেকে স্বাস্থ্যবান বাচ্চা উৎপন্ন হয়। সুতরাং ল্যবরেটরিতে গবেষণার জন্য স্যাম্পল হিসেবে সহজেই স্বাস্থ্যবান ডিম নির্ণয় এখন সহজ হবে বলে দাবি করেন তরুণ এই গবেষক।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ জানুয়ারি ২০১৯/সিকৃবি/আরআই-কে

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন