আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে সুরমার তীরে ওয়াকওয়ে: ব্যয় ৮০ কোটি টাকা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০১-২২ ০০:০৯:১১

নাজমুল ইমন :: সুরমা নদীর তীর সংলগ্ন সিলেট সার্কিট হাউজ, কালিঘাট এবং মেন্দিবাগ এলাকায় নদীর তীর দখলমুক্ত, সংরক্ষণসহ দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

এ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। এই ওয়াকওয়ে নির্মিত হলে নদী যেমন দখলমুক্ত হবে, ঠিক তেমনি নদীভাঙনও প্রতিরোধ হবে। এছাড়া নগরীতে বাড়বে বিনোদনের স্থান।

প্রায় দেড়যুগ আগে সিলেট নগরীর ক্বিনব্রিজ এলাকায় সুরমা নদীর দুই তীরে তৈরী করা হয়েছিল ওয়াকওয়ে, তবে তা সীমিত পরিসরে।

শুধুমাত্র ওয়াকওয়ে নির্মাণই নয়, এ প্রকল্পে থাকছে রাস্তা তৈরী, নদীর তীর সংরক্ষন এবং দখলমুক্তকরণ ইত্যাদি। ইতিমধ্যে ৩০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র কালিঘাট এলাকায় যানজট কমবে। তাছাড়া ক্রমশঃ দখল হওয়া সুরমার তীর মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি নদীও পরিস্কার থাকবে। বাংলাদেশের টেমস হিসাবে খ্যাত বরাকের অন্যতম এই শাখাসহ গোটা এলাকার সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে।

সিলেটে প্রাতঃভ্রমণ বা বৈকালিক অবকাশে আড্ডার তেমন একটা সুযোগ নেই। ক্বিনব্রিজের আশাপাশ আর কাজিরবাজার ব্রিজই একমাত্র ভরসা। সচেতন নাগরিকদের মতে, নতুন এই ওয়াকওয়ে সেই অভাব অনেকটাই পুরণ করতে সক্ষম হবে।

পুরো প্রকল্পটি সম্পর্কে সিসিক\'র প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, প্রায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম ৮০০ মিটার কাজে ব্যয় হচ্ছে ২৪ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রীর আহ্বানে ঢাকায় উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে সুরমা নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ পুরাতন কারাগারের স্থলে গ্রীণপার্ক নির্মাণ, নগরীতে গ্রীণ সড়ক, ও অত্যাধুনিক পাঁচটি গোলচত্বর নির্মাণ ও পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তের বাস্তব রূপ হচ্ছে এই ওয়াকওয়ে প্রকল্প।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ জানুয়ারি ২০১৯/নাই/এক

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন