কানাইঘাটে আতংক ছড়াচ্ছে বন্যার পানি

মাহবুবুর রশিদ, কানাইঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের কানাইঘাটে সুরমা ও লোভার নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। এতে কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার নিম্নাঞ্চল বানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল থেকে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সুরমা ও লোভা নদীর পানি বেশ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। সকালে লোভা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ২নং লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের শত শত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে আতংকও বাড়ছে নদী পাড়ের মানুষগুলোর মধ্যে।

সন্ধ্যার দিকে কানাইঘাট সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১১৬ সে. মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ইতোমধ্যে কানাইঘাট বাজারের গলিতে সুরমা নদীর পানি ঢুকে পড়েছে। এতে করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম আতংক দেখা দিয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ও পশ্চিম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। অনেকের বসত ঘরে আক্রান্ত হচ্ছে বন্যার পানিতে। বিভিন্ন স্থানে আউশ ধানের মাঠ ও আমন ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে। সুরমা ও লোভা নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদীর তীরবর্তী বসবাসরত লোকজনের মধ্যে হঠাৎ করে সুরমা ও লোভা নদীর পানি বেড়ে যাওয়া আতংক দেখা দিয়েছে। তবে এখনও কানাইঘাটের সাথে সিলেট শহরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

উত্তর লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা চরিপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুজম্মিল আলী জানিয়েছেন, আমরী নদীর দক্ষিণ তীরে অপরিকল্পিত বেড়িবাঁধ দেওয়ার কারণে লোভা ও সুরমা নদীর পানি তীব্র আকার ধারন করে তার বাড়ি ও গ্রামসহ দক্ষিণ লক্ষীপ্রসাদ, আসামপাড়া, নিহালপুর, বাজেখেল, মেছা, কান্দলা, সতিপুর গ্রামের অনেকের বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) লুসিকান্ত হাজং শুক্রবার কানাইঘাটের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে জানান এখনও কানাইঘাট পুরোপুরি বন্যা আক্রান্ত হয়নি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন তদারকি করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

এভাবে নদী-নদীর পানি অব্যাহত ভাবে বাড়তে থাকলে কানাইঘাটে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে এমন আশংকা করেছেন অনেকে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১২ জুলাই ২০১৯/এমআর/পিডি