Sylhet View 24 PRINT

চা শিল্পেও করোনার থাবা

৩ মিলিয়ন কেজি কমেছে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-০২ ১৩:০৭:৩৩

সিলেটভিউ ডেস্ক :: চা শিল্পেও থাবা বসিয়েছে করোনা। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের তুলনায় এবার চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কমেছে ৩ মিলিয়ন কেজি।

এদিকে, ২০২০ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন কেজি। তবে আবহাওয়াজনিত কারণ এবং করোনার পরিস্থিতির জন্য এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা অনেকটাই কঠিন হবে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

বাংলাদেশ চা বোর্ড (বিটিবি) সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে ৯৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে, যা বাংলাদেশের চা শিল্পের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড। সে বছর চায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭৬ মিলিয়ন কেজি অর্থাৎ ৭ কোটি ৬০ লক্ষ কেজি।

বিটিবি সূত্র আরও জানায়, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত চা উৎপাদন মৌসুমে দেশে চা উৎপাদন হয়েছে ৮২ দশমিক ১৩ মিলিয়ন কেজি। ২০১৮ সালের চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭২ দশমিক ৩ মিলিয়ন কেজি।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. মুনির আহমদ বলেন, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে আমাদের চায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন কেজি। গত বছর ৯৬ মিলিয়ন কেজি হলেও এবার ৭৭ মিলিয়ন টার্গেটের কারণ হচ্ছে- আমাদের এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় চায়ের বিগত ১০ বছরের সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে। আমরা পরিকল্পনা ভালোভাবে অনুসরণ করার কারণে অতিরিক্ত উৎপাদন করেছি। ৭৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন আমাদের টার্গেট; কিন্তু ৯০ মিলিয়ন কেজির উপরে আমাদের চা উৎপাদন করতে হবে।

লক্ষ্যমাত্রার কথা উল্লেখ করে এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এটা আমাদের অফিসিয়াল টার্গেট।  ৭৭ মিলিয়ন কেজির নিচে আমরা কোনো অবস্থাতেই আসতে পারব না। খরা হোক, বন্যা হোক, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যাই হোক না কেন আমাদের এই টার্গেটের নিচে নামা যাবে না। এটা আমাদের মার্জিন লাইন। যদি নামা হয় তাহলে আমাদের দেশের পুরো চা শিল্প পুরোপুরি হুমকির মুখে পড়বে। লক্ষ্যমাত্রাটা নির্ধারণ করা হয় এ জন্য যে, নিচে গেলেই ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি হবে। লক্ষ্যমাত্রার ভিত্তি হচ্ছে এই পর্যন্ত আমাকে থাকতেই হবে।

বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট ব্র্যাঞ্চ চেয়ারম্যান এবং ফিনলে টি কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) গোলাম মোহাম্মদ শিবলি বলেন, লক্ষ্যমাত্রা ৭৭ মিলিয়ন কেজি নির্ধারিত হলেও তাপমাত্রাজনিত কারণে আমাদের প্রত্যাশিত চা উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের চেয়েও কম আছি আমরা। গত জুন মাসে আমরা চায়ের জন্য উপযোগী সূর্যতাপ পাইনি। ৩০ দিনের মাঝে ২৫ দিনই বৃষ্টি এবং মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ছিল।

এর আগের মাসগুলোতে আমরা খরার সম্মুখীন হয়েছি। এখন তো চলছে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া। চায়ের জন্য দিনের বৃষ্টিপাতের চেয়ে রাতের বৃষ্টিপাত অধিকরত উপকারী। দিনে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে চাগুলো সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে না। যার ফলে চা গাছ দ্রুত কুঁড়ি ছাড়তে ব্যাহত হয়।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ২ জুলাই, ২০২০ / ডালিম

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.