Sylhet View 24 PRINT

সিলেটে মাটির উপরে-নিচে বিদ্যুতের লাইন!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-০৯ ১১:২৩:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে একই রাস্তার নিচে ও উপর দিয়ে টানা হয়েছে বিদ্যুতের লাইন। বিদ্যুতের তারের জঞ্জালমুক্ত করতে রাস্তার দু’পাশে থাকা অসংখ্য বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও টেলিফোনের লাইন খুলে তুলে ফেলা হয়েছে খুঁটি। আর নতুন করে রাস্তার মাঝখানে বসানো হচ্ছে বিদ্যুতের খুঁটি। তবে এই খুঁটিতে থাকবে না টেলিফোন ও ইন্টারনেটের লাইন, শুধু থাকবে বিদ্যুতের বিকল্প লাইন। ভূগর্ভস্থ লাইন ঠিকঠাকমতো চললে মাস ছয়েক পর তুলে ফেলা হবে এই খুঁটিগুলো- এমনটি জানিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে দেশের মধ্যে প্রথম সিলেট নগরীতে শুরু হয় ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজ। প্রথম ধাপে ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর ৭ কিলোমিটার এলাকার বিদ্যুৎ লাইন মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাগেইট এলাকায় সফলভাবে ভূগর্ভস্থ সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। গত প্রায় ছয় মাস ধরে ওই রাস্তার উভয় পাশে কোন ধরণের সমস্যা ছাড়াই মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চলছে।

দরগাগেইট এলাকায় সফলভাবে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ হওয়ার পর শুরু হয় চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার হয়ে সার্কিট হাউস পর্যন্ত এলাকায় মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুতের লাইন টানার কাজ। ইতোমধ্যে লাইন বসানোর কাজও শেষ হয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরুর আগে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ওভারহেড লাইনও রাখতে চাচ্ছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও সিটি করপোরেশন। ফলে সড়কের মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি বসিয়ে টানানো হয়েছে নতুন সঞ্চালন লাইন। শুরুতে রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি বসানো দেখে অবাক হয়েছিলেন নগরবাসী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এর ব্যাখা দিয়েছে সিটি করপোরেশন।

সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, চৌহাট্টা থেকে জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার হয়ে সার্কিট হাউস পর্যন্ত রাস্তা ও আশপাশের এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই এলাকায়ই সিলেটের বড় বড় সকল মার্কেট। এছাড়া এই এলাকায় রয়েছে নগরভবন, আদালত, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা পরিষদ, পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরকারী প্রতিষ্ঠান। যে কারণে এই এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ লাইনের পাশাপাশি খুঁটির উপর দিয়েও লাইন টানানো হয়েছে। আগামী ছয় মাস ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইনে কোন ত্রুটি দেখা না গেলে রাস্তার মাঝখানে বসানো খুঁটিগুলো তুলে ফেলা হবে। আর কোন কারণে ভূগর্ভস্থ লাইনে সমস্যা দেখা দিলে উপরের লাইন দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

এদিকে, চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার সড়কটিকে শুধুমাত্র তারের জঞ্জালমুক্তই নয়, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে সিটি করপোরেশন। ব্যস্ততম এই রাস্তার মাঝখানে সড়ক বিভাজন (ডিভাইডার) বসিয়ে সেখানে বাগান করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এছাড়ার রাস্তার উভয় পাশের ফুটপাতেও ফুলের টব বসিয়ে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে চায় সিটি করপোরেশন।

সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আরও জানান, সড়ক বিভাজন ও গার্ডেনিংয়ের কাজ শেষ হলে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে। রাস্তা সম্প্রসারিত হওয়ায় ওয়ানওয়ের এই রাস্তাকে ডাবল লেন করা হবে। কিন্তু রাস্তা দিয়ে রিকশা চলাচল করতে দেয়া হবে না। এতে যানজট কমবে। পাশাপাশি তারমুক্ত এই রাস্তা নগরীর সৌন্দর্য্য বাড়াবে। সিলেটে বেড়াতে আসা পর্যটকরা এই রাস্তার সৌন্দর্য্য দেখে মুগ্ধ হবেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৯ জুলাই ২০২০/শাদিআচৌ/ডিজেএস

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.